চট্টগ্রামে খেলা হলে দুই দলের কোচ-অধিনায়ক ছাড়া আরও একজনের সংবাদমাধ্যমের সামনে আসাটা মোটামুটি নিশ্চিত। তিনি বিসিবি পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান শফিকুর রহমান (মুন্না)। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কর্দমাক্ত মাঠ কালও দাঁড় করাল তাঁকে মাইক্রোফোনের সামনে। গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান অবশ্য নতুন কিছু বলেননি। সবই চর্বিত চর্বণ
বারবার একই সমস্যা হচ্ছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। একটু বৃষ্টিতেই খেলা হচ্ছে না? সমস্যাটা কেন হচ্ছে?
শফিকুর রহমান: মিরপুর স্টেডিয়ামের মতো এই স্টেডিয়ামেও পানিনিষ্কাশন-ব্যবস্থা করার কথা। বিশ্বকাপের আগে এ নিয়ে এনএসসির সঙ্গে কথাও হয়েছিল। এনএসসির বাজেট ছিল এর জন্য। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে সেটা করা যায়নি, কারণ মাঠের উচ্চতা অন্তত ৩ ফুট বাড়াতে হতো এবং নতুন পিচও বানাতে হতো। নতুন পিচ হলে অত তাড়াতাড়ি বিশ্বকাপের ম্যাচ দেওয়া যেত না এখানে।
বিশ্বকাপের পরও তো ছয় মাস চলে গেল। অথচ এখনো কাজ শুরু হয়নি...
শফিকুর: বিশ্বকাপের পর এনএসসির কাজ করার কথা। পরে জানা গেল বাজেটে কুলাচ্ছে না। বাজেট ছিল ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, কিন্তু লাগবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এনএসসি তাই এটাকে পরবর্তী বাজেটের মধ্যে রেখেছে। তবে বিসিবির সভাপতি বলেছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এনএসসি বাজেট না দিলে বোর্ডের অর্থায়নেই মাঠের কাজ হবে।
সময়মতো কাজ না হওয়ায় এনএসসির বাজেট ফিরে গেছে। সেটার কী ব্যাখ্যা?
শফিকুর: সেটার ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারব না। এনএসসির কাছ থেকে জেনে নেন। এ ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই।
এনএসসির সঙ্গে এ ব্যাপারে বোর্ড কোনো যোগাযোগ করেনি?
শফিকুর: বিশ্বকাপ শেষে এনএসসিকে আমরা অনেক চিঠিপত্র লিখে বলেছি, মাঠের কাজটা ধরেন। তারা চিঠি দিয়ে বলেছে বাজেট নেই।
অক্টোবরে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বাদ দিয়ে অন্য কোনো মাঠে কি এই সিরিজের ম্যাচ করা যেত না?
শফিকুর: এসবের জন্য লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যাপার থাকে। চট্টগ্রামে যে রকম সাপোর্ট দেওয়া যায়, সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। সেজন্যই ভেবেছি, চট্টগ্রামে খেলা হোক।
বাংলাদেশের একটা টেস্ট ভেন্যুতে বারবার একই ঘটনা ঘটছে। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং বাংলাদেশের জন্য কতটা অপমানজনক?
শফিকুর: আমি অপমান বলব না। এটা আবহাওয়ার কারণে হয়েছে। এ সমস্যা আছে বলে আমরা পুরো মাঠ কাভার করার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু কাভারের মাঝের ফাঁক দিয়ে পানি ঢুকে গেছে। এত বৃষ্টির পরও মাত্র কয়েকটা জায়গায় মাটি ভিজেছে।
দেশের দ্বিতীয় প্রধান ভেন্যু এটা। পানিনিষ্কাশন-ব্যবস্থা বা যেকোনো কারণেই হোক এ মাঠে খেলা না হওয়াটা কতটা বিব্রতকর?
শফিকুর: এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করি, ভবিষ্যতে এ রকম হবে না।
মূলত এনএসসির সঙ্গে বিসিবির সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই মাঠগুলো উন্নত হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কী বলবেন?
শফিকুর: এ ব্যাপারে কিছু বলব না। নো কমেন্টস।
কক্সবাজার ও সিলেটে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের চিন্তা করছেন। যেখানে বর্তমান স্টেডিয়ামগুলোই সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খেলা আয়োজনের মতো অবস্থায় নেই, নতুন মাঠ বানিয়ে বাড়তি অপচয় কেন?
শফিকুর: সংস্কার তো এনএসসি করবে বলেছিল। তারা করলে তো আমাদের করার দরকার নেই। এটা তাদের দরপত্রে ছিল। এখন তারা যদি না করে, বিসিবিকে বলে লাভ নেই।
মাঠের জন্য বিসিবিকে এনএসসির কাছে নির্ভরশীল থাকতে হবে কেন?
শফিকুর: সব মাঠের মালিকই এনএসসি। সব চুক্তিতেই লেখা থাকে বিসিবি ব্যবহার করলেও মালিক কিন্তু এনএসসি।
এক শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো মাঠ নেই যেখানে বিসিবি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের নিশ্চয়তা দিতে পারে। এটা কি দুর্ভাগ্যজনক নয়?
শফিকুর: আমরা খুলনা স্টেডিয়ামের মাঠ সংস্কার করে আধুনিক পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি। নতুন উইকেটও করা হয়েছে। সামনে সেখানে আমরা খেলতে পারব। বগুড়াও ভালো ভেন্যু। সেখানে খেলা হচ্ছে।
http://www.prothom-alo.com/detail/da...23/news/196044
DAMNNNN !!! THIS BIG MOUTH MORON IS THE HEAD OF GROUNDS COMMITTEE
!! এই লোকই বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের কমিটম্যান্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল অথচ নিজ দায়িত্বের প্রতি সে কতটা কমিটেড??