|
Forget Cricket Talk about anything [within Board Rules, of course :) ] |
September 2, 2009, 06:06 AM
|
|
Banned
|
|
Join Date: February 25, 2006
Location: London, UK
Favorite Player: Only Ashraful & Me
Posts: 4,428
|
|
“সাকা” একটি *** নাম
সাকা নিয়ে অসাধারন একটি সিরিজ লিখেছেন আমার এক বন্ধু (নিঝুম মজুমদার)। লিখাটা শেয়ার না করার লোভ সামলাতে পারিনি।
৫ পর্ব নিয়ে এই সিরিজ তার পর্ব ১ দেওয়া হল, কেউ চাইলে আমার ব্লগে গিয়ে পড়ে আসতে পারেন।
( পর্ব-১)-
লেখাটা লিখতে গিয়ে টের পেলাম অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে । অনেক বড় মানে, বেশ বড় । এই পশুকে নিয়ে এত বড় লেখা পাঠকরা কেন, লেখক হিসেবে আমি নিজেই হজম করতে পারছিলাম না । সুতরাং জীবনে এই প্রথম বারের মত পর্ব হিসেবে লেখা দিতে হচ্ছে । আশা করি আপনারা এই নরপিশাচের কথা জেনে শিউরে উঠবেন । ঘৃণায় আর লজ্জায় মুখ লুকাবেন । কেননা সাকা’র মত পশু আজ নিজেকে মানুষ দাবী করে সমাজে দাবড়িয়ে বেড়ায় । সে কারনেই সম্ভবত আমার মত সাধারণ পাবলিকের আর নিরীহ হয়ে থাকা গেলো না । সাকার মত একটু হিংস্র হতেই হলো ।
আপনাদের সাকা পাঠ ঘৃনার হোক । এই কামনা ।
********
শুরুর ক্যাচালঃ
কবি মলাগোফরুমার একটা ছড়া পড়েছিলাম অনেক আগে । উতসর্গ পত্রে ছিলো সাকার নাম । উতসর্গ পত্রে “সাকা” নামটা দেখে তখন বুঝি নাই । বেশ অবাক লেগেছিলো । কিন্তু পড়ার পর এই চারটি লাইন তখন বুয়েনো চকলেটের মত মনে অসাধারণ মনে হয়েছিলো । ছড়াটি এইরকম-
ছোট্ট বেলায় শুয়োর দেখে ,
হাতের মুঠো একে একে,
জড় হয়ে যেত ।
পোকার মত তোকে যদি,
পিষে ফেলা যেত !!
পাঁচটি বাক্যের এই কথাগুলো ঠিক নিজের মনের কথা বলে মনে হয় । প্রতিটি দিনেই স্বপ্ন দেখি, এই পশুটিকে যদি বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যেতো ! যদি মানুষের সামনে তার বিষমুখ আর বিষ দাঁতগুলো ভেঙ্গে দেয়া যেতো ! আফসোস, এ সমাজ বড়ই অদ্ভুত সমাজ । এখানে মানুষ কে পিষে মারা হয়, পশুকে নয় ।
এক
সাকা নামের নরপিশাচটিকে নিয়ে কথা বলবার আসলে কোন রুচি অথবা ইচ্ছা কোনোটাই আমার ছিলো না । ধানমন্ডির ৮/এ এর ৪৮ নম্বর বাসার সামনে অথবা রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন এলাকার কাদের নগরের প্রধান ফটকের সামনে বড়জোর এক দলা থুথু দিয়েই আমি আমার ঘৃণা প্রকাশ করতে পারতাম । অনেকের অগোচরে এইসব ঘৃণা প্রকাশ করে বাসায় গিয়ে দু’দন্ড শান্তিতেও হয়তবা ঘুমানো যেত । ফেইস বুকে খোলা যেত “say no to saka” টাইপ কয়েকটা গ্রুপ কিংবা হাজার খানিক এড্রেসে মেইল করে কিছু খিস্তি-খেউর পৌছে দেয়া যেত সাকা কে উদ্দেশ্য করে । তাতেও চলত । কি লাভ হতো কিংবা কি হতো না তা হয়ত সেসব ক্ষেত্রে আর বিচার করতামও না । কিন্তু কেন যেন নিজেকে প্রবোধ দেবার মত কিছু একটার বড় প্রয়োজন পড়ল । মানুষ হয়ে জন্মাবার এই বুঝি ব্যার্থতা । নিজে যতটাই দূর্বল আর সংকুচিত হই না কেন, এই রকম একটা পুঁজ শরীরে দেখেও না দেখার ভান করতে পারি না । তাই সাকা সম্পর্কিত মোটামুটি সব তথ্যই আমাকে যোগাড় করতে হলো । এই পশুটির সম্পর্কেও জানতে হলো অনেক কিছু । গত এক সপ্তাহে এই পিশাচটিকে নিয়ে যতটুকু জেনেছি, তার কিছুটা বলতে পারলেও, পাঠক, আপনারা কষ্টে আর লজ্জায় মুখ লুকাবেন, দুঃখে চৌচির হবেন আর লজ্জায় আর গ্লানিতে বোধশুন্য হবেন । সাকার মত একটি পশু বাংলাদেশ নামের স্বাধীন আর সার্বভৌম রাষ্ট্রে কি করে থাকে এ এক অপার বিষ্ময় ! শুধু মাত্র এই একটি পশু এই দেশের নাগরিক, শুধু এই কারনটিতেই যদি বাংলাদেশকে কখনো “ব্যানানা রিপাব্লিক” কিংবা “ব্যার্থ রাষ্ট্র” ট্যাগে যদি ট্যাগায়িত হতে হয়, আমি অবাক হবো না । এই পশুটির অংভঙ্গি, উচ্চারণ, দাম্ভিক কটুক্তি, হায়েনার মত এক ধরনের বিরল প্রজাতীর হাসি,মুখ নিসৃত বর্জ্য , সবকিছুর মধ্যেই যেন একটি ভয়াবহ নোংরামির আভাষ থেকেই যায় । রাজনৈতিক নেতারা একজন আরেক জনের উপর সামান্য কথাতেও ঝাপিয়ে পড়েন । মওদুদ সাহেব তো কথায় কথায় আগে মান হানির মামলা করতেন, সেই মওদুদকে সুবিধাবাদী,চশমখোর বলেও সাকা মান হানির এলিগেশন থেকে রক্ষা পেয়ে যায়, শেখ হাসিনা কে যখন সাকা বলে, “ ওয়াজেদের কি সোনা নাই ? আমার সোনা নিয়ে টানাটানি কেন ?” কিংবা “ শেখ হাসিনার বাসর রাতের শাড়ি তো আমার কিনে দেয়া” অথবা, “ হাসিনা তো আমার উপর একটু দুর্বল, ওনার সাথে আমার বিয়ে হবার কথা ছিলো কি না…” সে সময় আওয়ামীলীগের চেলারা কই থাকে ? তারা তো “রাজাকারের ছেলের বিয়ে হয়েছে শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের সাথে” এই তথ্য শুনে আমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে পোস্ট দেয়, ডিভাইন ইন্টারভেনশন আর জংলীদের জংলা নৃত্য দেখা যায় । কোন কোন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আমাকে আবেগের ব্যাবসায়ী বানান, প্রিয় মানুষগুলো বলেন , “নিঝুমের তো আপ্রোচ ঠিক নাই”, কেউ কেউ আবার “হারানো রাস্তা” হয়ে আমার কথার সত্যতা জানতে চান । কিন্তু কি এক অজানা ভয়ে সেইসব আওয়ামী প্রেমীরা সাকা’র ক্ষেত্রে নিরব আর ম্রিয়মান থাকেন । কই থাকে তাদের সব রেফারেন্সের ভান্ডার ? আওয়ামী নেতারাই বা কই থাকেন ? কেন সাকার বিচার হয় না ? কেন সাকার মত একটা নরকের কীট, একটা বিভতস পোকা, একটা হিংস্র পশুকে সব সরকার ছেড়ে দেয় ? খালেদার চেলারা কই থাকে, যখন খালেদাকে “কুকুর” বলে গালি দেয় ? তারেকের হম্বি তম্বি তখন কই থাকে ? মামুন আর তার পাওয়ার চোদায় না কেন ? খালেদার জাতীয়তাবাদী হ্যাডম তখন কার পুচ্ছদেশ দিয়ে কার রস আস্বাদন করে ?
অবশ্য এসব পাতি চেলা আর নেতাদের জিজ্ঞেশ করে কি হবে ? যখন মাননীয় শেখ হাসিনাকে আগের রাতে গালিগালাজ করে পরের দিন ছেলের বিয়ের দাওয়াত দিতে সুধা সদনে ঢোকার পার্মিশন পায়,যখন খালেদা কে কুকুর ডাকার জন্য বিরোধীদলীয় উপনেতা বানানো হয় । যখন এই হয় সাকার পুরষ্কার, তখন আমার মত আবাল পাবলিকের আর কি করণীয় থাকে ? আমরা কেবল দাঁতে দাঁত চেপে ভিতরেই গুমড়ে মরি, জ্বলতে থাকি । কারন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্য কোন আইন নেই । আদালত নেই । অন্ততঃ সব সরকার আমাদের এই হজমি বড়ি খাইয়ে, ভালো করে বুঝিয়েই দিয়েছেন ।
দুই
আমি যদি ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল নতুন চন্দ্র সিংহ কে হত্যা করা দিয়ে শুরু করি, তাহলে হয়ত মনে হবে সাকার বর্নাঢ্যময় জীবন বুঝি ওই একাত্তরেই শুরু হলো । আপনাদের কাছে মনে হবে তার আগে এই পশুটি মানুষ ছিলো । এই রকম করে শুরু করা গেলে হয়ত আসলে ভালোই হতো । নিজেকে এতটা ক্লান্ত লাগতো না, যতটা ক্লান্ত হয়েছি গত একটি সপ্তাহে সাকার উপর তথ্য সংগ্রহ করে আর তার নির্মমতা আর পাশবিকতাগুলো জানতে পেরে । মানুষ হিসেবে এই বুঝি আমার দূর্বলতা । একটা মানুষ ঠিক কতটা পুঁতি গন্ধময় হলে তাকে অসভ্য বলা যায় কিংবা কতটা বিকট হলে তাকে পশু বলা যায় এই মাপকাঠির হিসেব আমার সাধারণ মজ্জায় ঢোকে না । আমি শুধু বুঝি সাকার কর্মকান্ডের এক লক্ষ ভাগের একটা ভাগ কেউ করে থাকলে , তাকে মানুষ সমাজেই রাখা সম্ভব না । অথচ সাকা পশুটি টিকে আছে বলীয়ান আর পরিপুষ্ট হয়ে তার আধিপত্য নিয়ে । যাকে বলে কি না বহাল তবিয়তে । কথিত আছে সাকার বাবা রাজাকার ফকার একাধিক রক্ষিতার কথা । রাঙ্গুনিয়ার সেই রক্ষিতা সুলতানার গর্ভে আসা সন্তান আমাদের আজকের সাকা । ফজলুল কাদের চোধুরী ওরফে ফকা, সেই সময়েই অবশ্য সুলতানাকে মাটিতে চাপা দিয়ে ফকা সেখানে টগর ফুল ফুটিয়েছেন বড় যত্নে । সাকার কথা শুরু করতে গেলে তার জন্ম, তার পারিপার্শ্বিক গুলো জানা খুব প্রয়োজন । কেননা তার এই নোংরামি আর পশুত্বের সূত্র গুলো জানা থাকলে সাকার পশুত্বের ব্যাপ্তিটা জানা অনেক সুবিধার হবে ।
(চলবে)
|
September 2, 2009, 06:17 AM
|
|
Moderator
|
|
Join Date: September 16, 2008
Location: Guantanamo
Favorite Player: Innocent Bird
Posts: 48,721
|
|
Nice but too short
__________________
হোঁচট খেয়েছি অনেকবার, তবুও হার মানিনি। বাঁধা এসেছে বারবার, তবুও থেমে থাকিনি। বাঘেরা জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন... ইনশাল্লাহ আল্লাহ ও আমাদের সহায় হবেন। চলো বাংলাদেশ!
|
September 2, 2009, 06:32 AM
|
|
Banned
|
|
Join Date: February 25, 2006
Location: London, UK
Favorite Player: Only Ashraful & Me
Posts: 4,428
|
|
Quote:
Originally Posted by nadim 98
Nice but too short
|
Did u read it or not? Its just part 1.
|
September 2, 2009, 06:47 AM
|
|
Cricket Sage
|
|
Join Date: March 26, 2007
Favorite Player: Bangladesh Team
Posts: 18,761
|
|
Nicely written. But the same type of picturisation can be done with his rivals AL, isn't it.
I like to see the writers/intellectuals remaining neutral & contributing without taking a side. The biggest problem when a neutral platform takes a side, is that he/she makes it even worse. That's what has happened to our country.
__________________
[Post CWC19 Consistency Record: [B]Test: W-0 L-0 D-0/B]// ODI: W-0 L-3 // T20: W-0 L-0]
Last edited by BANFAN; September 3, 2009 at 02:20 AM..
|
September 2, 2009, 12:18 PM
|
|
Cricket Guru
|
|
Join Date: March 7, 2007
Location: elsewhere
Favorite Player: ZAR
Posts: 9,896
|
|
এই ভদ্রলোকের সাথে না চাইতেও প্রতি শুক্রবারে মসজিদে দেখা হয়।
__________________
﴾اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِيَآءَ اللّٰهِ لَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُوۡنَ ۖ ۚ ﴿۶۲
"Listen, the friends of Allah shall have no fear, nor shall they grieve" (Yunus: 62)
|
September 2, 2009, 12:32 PM
|
|
Cricket Sage
|
|
Join Date: September 16, 2004
Posts: 18,718
|
|
Quote:
Originally Posted by Omio
Did u read it or not? Its just part 1.
|
.... then its too long for part 1.
__________________
"Make Bangladesh Cricket Great Again"
|
September 2, 2009, 12:46 PM
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: June 8, 2009
Posts: 3,934
|
|
Omio bhai, willing to read rest of all 4 part from your blog.....cant wait... link plz.
and thanx a lot for great initiative sharing such much important thing for us.
|
September 2, 2009, 01:42 PM
|
Cricket Sage
|
|
Join Date: May 18, 2005
Location: New England
Favorite Player: Mominul Haque
Posts: 24,706
|
|
I have heard loads of stories about this person and Raujan.
Some of them are more horrifying than Joynal Hazari, Ershad Sikder stories.
__________________
À vaincre sans péril, on triomphe sans gloire.
|
September 2, 2009, 06:20 PM
|
|
Banned
|
|
Join Date: February 25, 2006
Location: London, UK
Favorite Player: Only Ashraful & Me
Posts: 4,428
|
|
Part- 2
প্রথম পর্বের পর –
চিকদাইর ইউনিয়নের ফল্লাতলী থানার মেয়ে ছিলো সুলতানা । গরীব ঘরের হওয়ার কারনেই ভাগ্য পরিবর্তনের তাগিদে মানুষের বাসাতে কাজ করতে হতো সুলতানাকে । ওই গ্রামেরই আরেক ভদ্রমহিলা আশ্রাফুন্নেসা , যিনি ফকা চৌধুরীর বাসাতে প্রায় দশ বছর ধরে কাজ করেছিলেন, তারই সূত্র ধরে সুলতানা কাজ করতে আসেন ফকার গহিরার বাড়ীতে । ফকার স্ত্রী’র (যাকে মনু নামে ডাকা হতো কেতাবি নাম জানা যায়নি) শারীরিক সমস্যাজনিত কারনে তাদের বিয়ের প্রথম দশ বছরেও কোনো সন্তান হয়নি । এই নিয়ে অবশ্য কোনো ধরনের পারিবারিক অসন্তোষ না থাকলেও, সুলতানার সাথে ফকার শারীরিক সম্পর্কের কথা নিয়ে ফকার পুরো পরিবারেই একটা কানা ঘুষা চলতে থাকে ।
মূলত ফকার রক্ষিতা হিসেবেই সুলতানাকে ব্যাবহার করা হতো । ওই সময়ে পারিবারিক এই ধরনের ব্যাপারগুলো মূলত প্রতিরোধের থেকেও, দ্রুত চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হতো । আর ফকা অবস্থানগত ও সম্পদগত দিক থেকে এতটাই শক্তিশালী ছিলো যে,ফকা যদি তার স্ত্রী্র সামনেও কাউকে ধর্ষন করত তাহলেও আসলে কিছু করার ছিলো না । সে সময় রাজনৈতিক ভাবেও ফকা একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাড়িয়েছিলো । সুলতানার গর্ভে সন্তান আসার পর তা আর গোপন থাকেনি । এই ধরনের খবর গুলোর যে অদৃশ্য পা থাকে, সে পায়ের জোরেই খবর গুলো বেশ চাউর হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পরে । কিন্তু ফকার যে অবস্থান গত শক্তির কথা আগেই বলা হয়েছে, তার জোরেই এই ধরনের খবরগুলো আসলে ঠিক ফকার মত লোকদের জন্য থামিয়ে দেয়া খুব একটা কঠিন হয় না ।
সুলতানার সন্তান জন্ম নেওয়ার পরের সাত মাসেও সুলতানাকে ফকার বাসাতেই দেখা যায় । এবং একটা পর্যায়ে ছড়ানো হয় যে সুলতানা, ফকার বাসায় থাকা রাখাল হাবিবের সাথে চুরি করে ভারতে পালিয়েছে । এবং সুলতানার গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তান আসলে হাবিবেরই ফসল । কতটা হাস্যকর হলে এই যুক্তি দেয়া যায় যে, ফকার মত প্রভাবশালী লোক এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই নেয় নি । হাবিব আর সুলতানাকে আর কখনোই কোথাও দেখা যায়নি কিংবা খুঁজে পাওয়া যায়নি । বলা হয়ে থাকে, সুলতানা ও হাবিবের কবর ফকার বাড়ীর চৌহদ্দীর ভেতরেই দেয়া হয়েছিলো ।
সবচাইতে চমকপ্রদক তথ্যটা হলো, সুলতানার পরিবার থেকেও আর কোনো রকম প্রতিবাদ কিংবা পদক্ষেপের কথা কখনই শুনা যায়নি , আর দশটা সাধারণ হারিয়ে যাওয়া মানুষের মতন সুলতানাও কখনো ফিরে আসেনি । আর হাবিবের ব্যাপারটা আরো বেশী সহজ সাধ্য ছিলো, কেননা বাবা-মা মরা এতিম ছেলে খুব ছোট বেলা থেকেই ফকার বাসাতেই বড় হয়েছিলো । সুতরাং সে হারিয়ে গেলেও কারো হয়তবা কিছু যায় আসে নি । এর মধ্যেই মোটামুটি চাউর করে ঘোষনা করা হয় সাকার জন্মের কথা । চোধুরী পরিবারের প্রথম ছেলে সন্তানের কথা ।
পারিবারিক ভাবে ফকার পরিবারে এই মিথটিই প্রচলিত যে, সাকা আসলে সুলতানার গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তান । ( এই ঘটনা এবং ব্যাবসায়িক ও সম্পত্তির মালিকানা সঙ্ক্রান্ত অন্যান্য আরো কিছু ঘটনার সূত্র ধরেই এখন সাকার আরো দুই ভাই, গিয়াসুদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে সাপে নেউলে সম্পর্ক চলছে । যা আপনাদের পরবর্তী পর্ব গুলোতে বিস্তারিত বলা হবে) আগেই বলে নেয়া প্রয়োজন, এই ধরনের তথ্যগুলোর সবচাইতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ঠিক প্রমান সহ কোনো ধরনের দলিল দস্তাবেজ থাকেনা । কিন্তু আমি যার কাছে সাকার পারিবারিক ও ভেতরকার কীর্তিকলাপ গুলোর খোঁজ খবর নিয়েছি তার তথ্য সূত্র আমার কাছে বরাবরি অথেন্টিক মনে হয়েছে । সাকার পরিবারকে তিনি ছোট বেলা থেকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন । সুতরাং পারিবারিক এইসব ঘটনাগুলোর অনেক কিছুরই সাক্ষী তিনি ।
একটা সময় ফজলুল কাদেরের ভয়ে ও দাপটে একটা জীবন অতিবাহিত হলেও আজ সন্তানদের সুবাদে লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বাস করছেন । বার বার তিনি আমার কাছে তার নাম না প্রকাশ করবার শর্তে অনেক গল্পই করেছেন , যা শুনে এই নিরাপদ একটি দেশেও আমি ঘেমে উঠেছি বার বার । আতংকে চমকে উঠেছি । আপনাদের একটি কথা এখন না বলেই নয় যে, প্রায়ই কথা উঠে থাকে, সাকা চৌধুরী লন্ডনে ১৯৭১ সালের মহান যুদ্ধে দেশেই ছিল না । পশুটি নাকি ছিল লন্ডনে । সেখানে সে নাকি লিঙ্কন্স ইন থেকে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছে এবং ব্যারিস্টার ডিগ্রী অর্জন করেছে । এই একটি মাত্র তথ্য জানতে আমাকে কয়েকবার চ্যান্সারি লেনের লিঙ্কন্স ইনে দৌড়াতে হয়েছে । কারো ব্যাক্তিগত তথ্য যেহেতু লিঙ্কন্স ইন অথরিটি দেয়না সুতরাং আমাকে এক্ষেত্রে অন্য একটি পন্থা অবলম্বন করতে হয়েছে । প্রথমেই বলে নেই যে, লিঙ্কনস ইন আইন বিষয়ে কোনো সাবজেক্টের কোনো ধরনের টিউশন দেয়না । লিঙ্কন্স ইন একটি অনারারী সোসাইটি যারা বার-এট-ল করছে এমন ছাত্র-ছাত্রীদের মধাহ্ন এবং নৈশকালীন ভোজনের ব্যাবস্থা করে এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে সেসব ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যারিস্টার হিসেবে ঘোষনা করে । বার এট ল কোর্স সম্পন্ন করতে হলে বাধতামূলকভাবে চারটি অনারারী ইনের যে কোন একটি ইনের সদস্য হতে হয় , এবং লিঙ্কন্স ইন সে সবের মধ্যে একটি ।
সুতরাং প্রথম ক্ষেত্রেই এটা খুব পরিষ্কার যে, সাকা কোনভাবেই লিঙ্কন্স ইন থেকে আইন বিষয়ে পড়েনি এবং এখান থেকে ব্যারিস্টারও হয়নি । ১৯৫০-২০০০ সালের যে লইয়ার্স লিস্ট, যা কিনা লিঙ্কন্স ইন এবং আরো তিনটি এইরকম অনারারী প্রতিষ্ঠানের সূত্র ধরে প্রকাশিত হয় একটি বই আকারে, সেখানে সাকার নাম পাই নি । আমাদের আরেক পোল্টিবাজ নেতা মওদুদ আহমেদ,শফিক আহমেদ,রফিকুল হক মিয়া প্রমুখের নাম পেলেও দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে সাকা নামের পশুটির নাম খুঁজে পেলাম না ।
যে কথা শুরুতেই বলছিলাম যে সাকার মত একটি নির্লজ্জ আর নির্মম পশুটির এখনকার কর্মকান্ডের পেছনে তার শৈশবের ইতিহাস জানা আমার কাছে খুব জরুরী মনে হয়েছে । সম্ভবত সাকা তার এই জন্মের ব্যাপারটি খুব স্বাভাবিক ভাবেই জানতে পেরেছিলো খুব অল্প বয়সেই , যার সাথে সাথে পরিচিত হয়েছিলো তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ভয়াবহ রকমের হিন্দু বিদ্বেষের সাথে ,। রাউজান,গহিরা,রাঙ্গ ুনিয়ার মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা ছিলো । এখনো প্রচুর পরিমাণে হিন্দুদের বসবাস ওইসব এলাকা গুলোতে । ছোটবেলা থেকেই কঠোর ধর্মীয় অনুশাষন তথা ধর্মের নামে বাড়াবাড়িরই শিক্ষা দেয়া হয়েছিলো । ফকা চোধুরী্র প্রচন্ড শাষন আর বাড়াবাড়ি রকমের নিয়ম কানুনের মধ্যে দিয়ে তার জারজ সন্তান সাকা ধীরে ধীরে বিগড়ে যেতে থাকে ।
(চলবে) —
Last edited by Omio; September 3, 2009 at 05:01 AM..
|
September 2, 2009, 08:38 PM
|
|
Cricket Savant
|
|
Join Date: June 27, 2007
Location: Dhaka Mental Hospital
Favorite Player: Jahanara Alam, Zuccarello
Posts: 25,243
|
|
This is great work....Omio bhaiya! I have much much higher respect for you now! Salute!
__________________
God bless Ingrid Newkirk, Dianne Feinstein, Hillary Clinton, Kamala Harris, Kirsten Gillibrand, Elizabeth Warren & Mitch Landrieu!
twitter.com/bujheekom
|
September 3, 2009, 01:48 AM
|
|
BanglaCricket Staff BC - Bangladesh Representative
|
|
Join Date: February 28, 2005
Location: Here
Favorite Player: Father of BD Cricket
Posts: 20,540
|
|
Great stuff Omio.
Whats your blog address??
__________________
Verily, in the remembrance of Allah do hearts find rest [Al-Qur'an,13:28]
|
September 3, 2009, 05:02 AM
|
|
Banned
|
|
Join Date: February 25, 2006
Location: London, UK
Favorite Player: Only Ashraful & Me
Posts: 4,428
|
|
Quote:
Originally Posted by Rabz
Great stuff Omio.
Whats your blog address??
|
Actually this article is by one of my friend(Nijhoom). I just share it here.
|
September 3, 2009, 06:50 AM
|
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: November 26, 2008
Location: London
Favorite Player: Saudi Capital
Posts: 7,186
|
|
Really interesting.
__________________
Man is here.
|
September 3, 2009, 09:21 AM
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: June 8, 2009
Posts: 3,934
|
|
2nd part is nice though little bit controversial because of birth related topic...anyway, thanks agian for sharing . willing to read more.
|
September 3, 2009, 11:53 AM
|
|
BanglaCricket Staff BC - Bangladesh Representative
|
|
Join Date: February 28, 2005
Location: Here
Favorite Player: Father of BD Cricket
Posts: 20,540
|
|
Quote:
Originally Posted by Rabz
Great stuff Omio.
Whats your blog address??
|
Quote:
Originally Posted by Omio
Actually this article is by one of my friend(Nijhoom). I just share it here.
|
Quote:
Originally Posted by Omio
সাকা নিয়ে অসাধারন একটি সিরিজ লিখেছেন আমার এক বন্ধু (নিঝুম মজুমদার)। লিখাটা শেয়ার না করার লোভ সামলাতে পারিনি।
৫ পর্ব নিয়ে এই সিরিজ তার পর্ব ১ দেওয়া হল, কেউ চাইলে আমার ব্লগে গিয়ে পড়ে আসতে পারেন।
( পর্ব-১)-
(চলবে)
[/বাংলা]
|
Thats why i ask mate.
__________________
Verily, in the remembrance of Allah do hearts find rest [Al-Qur'an,13:28]
|
September 3, 2009, 06:45 PM
|
|
Banned
|
|
Join Date: February 25, 2006
Location: London, UK
Favorite Player: Only Ashraful & Me
Posts: 4,428
|
|
Quote:
Originally Posted by Rabz
Thats why i ask mate.
|
Here we go-
http://www.amarblog.com/nijhoom
|
September 3, 2009, 06:47 PM
|
|
Banned
|
|
Join Date: February 25, 2006
Location: London, UK
Favorite Player: Only Ashraful & Me
Posts: 4,428
|
|
Part 3:
১ম ও
২য় পর্বের পর-
অনেকেই বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন সাকার জন্ম ও পরিবার নিয়ে কথা বলছি দেখে । অনেকেই আবার মনে করছেন এই প্রকাশ করাটা প্রয়োজনীয় । আমি আমার অবস্থান থেকে একটি কথা খুব স্পস্ট বলি, একটি মানুষের জন্মই আসলে মূল কথা । কিভাবে হলো কিংবা কিভাবে আসলো এই ব্যাপারটি ঠিক ওই অর্থে সমাজ জীবনে কোনো প্রভাব ফেলে না ঠিক যতক্ষণ না ওই মানুষটির তার জন্ম সঙ্ক্রান্ত বেদনায় অন্যকে বেদনাসক্ত করে না তোলেন । আপনারা এখন ভাবছেন আবেগে আমি যতই সাকাকে পশু বলি, একটি মানুষকে আসলে কোনভাবেই এই উপাদান গুলো দিয়ে বিচার করা অনুচিত । এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলি, সাকাচৌকে যদি কেউ মানুষ মনে করেন, তবে আমি নিশ্চিত , আপনি আপনার অতি মূল্যবান মানবিক অনুভূতিকে নেহাত “প্রচুর” ভেবেই জলাঞ্জলী দিচ্ছেন । সাকা,ফকা,গিকা,সাইফ কা(সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরী) এরা যেই পরিমাণে গত ৫০ বছর চট্রগ্রাম তথা পুরো বাংলাদেশের মানুষের উপর অত্যাচার আর নির্যাতন করেছে এবং করছে তা আপনি খতিয়ে দেখলে, আপনি লজ্জা পেয়ে মুখ লুকাবেন । আমি যেহেতু সাকাকে নিয়ে অনেকটা বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করছি সে ক্ষেত্রে সাকার মানসিক ভাবে বেড়ে উঠা,পারিবারিক ভাবে বেড়ে উঠা এই ব্যাপার গুলো অন্তত আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । আপনি যখনই কোন একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন, আপনি লক্ষ করবেন আপনাকে অতি অবশ্যই সেখানে জিজ্ঞেশ করা হবে, আপনার ফ্যামিলির পেছঙ্কার কথা, তথ্য,ইতিহাস । কখনো সরাসরি কিংবা কখনো জানতে চাওয়ার ছলে । এর কারন কি ? মনোবিজ্ঞানীরাও এই ধরনের পরীক্ষা গুলোর ক্ষেত্রে খুব জোর দেন তার বংশগতি ও তার ধারাগুলোর ক্রমান্বয় পর্যালোচনার প্রয়োজনে । আমার ধারনা এই সিরিজের কোন না কোন পর্যায়ে আপনারা সবাই আমার সাথে একমত হবেন যে সাকার পশুত্বের এই বিপর্যয় মূলত তার ফ্যামিলির ভয়াবহ প্রভাবেই হয়েছে বা কিছুটা হলেও দায়ী । তবে আমি আসলে অবাক হয়েছি একটা কথা ভেবেই যে, সাকাকে এখনো অনেকেই মানুষ মনে করেন । জানিনা ঠিক কি কারন হলে সাকাকে মানুষ নামটি দিয়ে মানুষ নামটির অপমান করা যায় । যারা এখনো মানসিক বিকাশের সাথে পরিবারের সম্পর্কটি ধরতে পারেন নি তাদের বলব নীচের এই লিঙ্ক গুলোতে গিয়ে একটু কষ্ট করে পড়ে নিতে ।
http://www.physorg.com/news166117883.html
http://genetics.emory.edu/pdf/Emory_...al_Illness.PDF
http://www.medicalnewstoday.com/articles/156634.php
http://uk.answers.yahoo.com/question...4072157AAHkQpY
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের সামান্য হলেও আমার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একসাথে চলবার প্রয়াস পাবে ।
বিগড়ে যাওয়া মানে এই নয় যে সাকা (যার পারিবারিক নাম খোকন )হঠাত করেই একদিন মাদকাসক্ত হয়ে গেলো কিংবা মানুষ খুন করা শুরু করলো অথবা মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ষন শুরু করল । এই বিগড়ে যাওয়া হলো মাথার ভেতর ইঞ্জেক্ট করে দেওয়া ফকার পারিবারিক রেওয়াজ ও দম্ভ । “আমরা চৌধুরী, আমরা হলাম এই চট্রগ্রামের পালন কর্তা,” এই ব্যাপার গুলো মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া । সাকার জন্ম ইতিহাসের কারনেই পারিবারিক ভাবেই এই পশুটি কিছুটা নিগৃহীত ছিল, সে সময় থেকেই তার আরো দুই ভাই গিয়াসুদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে গিকা ও সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাইফুকার সাথে তার শৈশব কালীন দূরত্ব পারিবারিক ভাবেই একটি সুক্ষ্ণ সীমানা টেনে দেয় যা ধূর্ত সাকার কখনই বুঝতে সমস্যা হয়নি । ফকার অত্যন্ত প্রিয় পূত্র হবার সুবাদে অবশ্য এইসব পারিবারিক টানাপোড়নে সাকা বার বারই পার গেছে । ফকা পারিবারিক এই জটিলতা বুঝতে পেরে ১৯৫৭ সালে তাকে একবার পাঞ্জাবের সাদিক’স মাধ্যমিক স্কুলে পাঠিয়ে দেয় , অবশ্য তার পরের বছরই ফকা তাকে ফিরিয়ে এনে চট্রগ্রামের সেন্ট প্লাসিড স্কুলে ভর্তি করায় । নবম শ্রেণীতে পড়বার সময় একজন সম্মানিত স্কুল শিক্ষককে বন্ধু-বান্ধব সহ নির্যাতনের অভিযোগে সাকাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয় । কিন্তু প্রভাবশালী বাবার ছত্র ছায়ায় বিষয়টি মিটমাট করা হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকেই সাকা মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করে ।সাকা তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে শেষ করে চলে যায় পাকিস্থানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৬৮-৭০) যেখান থেকে এই পশুটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী করায়ত্ত করে ।
সাকার বাবা ফকা চৌধুরী বৃটিশ শাষনামলের শেষ দিকে তখনকার চলতে থাকা ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখে এবং ষাটের দশকে আইয়ুব খানের সামরিক শাষনের সময় মন্ত্রীসভার সদস্য হয়। পরবর্তীতে তাকে ততকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের কনভেনশন মুসলিম লীগের স্পীকার (২৯-১১-১৯৬৩ থেকে ১২-০৬-১৯৬৫) বানানো হয় ( এই কনভেনশন মুসলীম লীগ সামরিক শাষক আইয়ূব খানের মাধ্যমে ১৯৬২ সালে গঠিত হয় মুল মুসলীম লীগ থেকে সরে এসে ) । প্রবল পাকিস্তান প্রীতি আর পাকি পা চাটার পুরষ্কার স্বরূপ ফকা ধীরে ধীরে রাজনীতির মূল ক্ষেত্রে তার অবস্থান তৈরী করে নেয় ।এ সময়ই রংপুর সদরে তার নির্দেশে ছাত্র আন্দোলনের ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয় । চট্টগ্রামে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লালদীঘির ময়দানে তার গুণ্ডাবাহিনীকে সে আহ্বান করে ‘শুককুয্যা কডে’ চিৎকারে। তার এ হুঙ্কার ছিল পাকিস্তানের তৎকালীন রাজনীতির একটি ব্যাপক আলোচিত ঘটনা । এখানে জেনে রাখা দরকার বৃটিশদের আজ্ঞাবহ সাকার দাদা ছিলো ততকালীন পুলিশের দারোগা (পরবর্তীতে দূর্নীতির দায়ে বহিঃষ্কৃত )। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে,পাকিস্তান পর্বের শুরুর দিকে ১৯৪৮ সালে ফকার গুদাম থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ের ১১৫ মণ তামার তার উদ্ধার হলে বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’ এ্যামেন্ডমেন্ট এ্যাক্টে তাকে ১০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ সপ্তাহের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ফজলুল কাদের চৌধুরী রাজনৈতিক পরিচয় দেখিয়ে হাইকোর্টের মাধ্যমে দণ্ড মওকুফ করানোর চেষ্টা করলে বিচারপতি তার আবেদন মঞ্জুর না করে বরং তার সাজা আরও বাড়িয়ে অর্থদণ্ডের পরিবর্তে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন । তথ্য পত্রে এই মামলাটি ফজলুল কাদের চৌধুরী বনাম ক্রাউন নামে লিখিত আছে (২ , ঢকা ল’ রিপোর্ট ১৯৫০ )
একটা ব্যাপার এখন বেশ সংক্ষেপে নিয়ে আসা যায়,
১। সাকা তার জন্ম সঙ্ক্রান্ত উত্থাপিত উতসে বরাবরি একটা হীন মানসিকতায় ভুগত ( যেহেতু পারিবারিক ভাবে ও পরিবারের বাইরে বিভিন্ন সময়ে ও স্থানে তাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে এটি বুঝিয়ে দেয়া হতো এবং বর্তমানে তার নজির আমরা পাই সম্পত্তি সঙ্ক্রান্ত বিরোধে পুরো ফ্যামিলির তার বিরুদ্ধে চলে যাওয়া যা সামনে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে )
২।সাকার বাবা ফকার প্রবল পাকিস্থান প্রীতি আর তার বিপরীতে তীব্র হিন্দু বিদ্বেষ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি অচিন্তনীয় আক্রোশ ও সন্দেহ ।
৩। ফজলুল কাদের চৌধুরীর দূর্নীতি
৪।সাকার দাদার দূর্নীতি (দূর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত দারোগা )
এই ব্যাপার থেকে একটা সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, জন্ম পরিচয় সঙ্ক্রান্ত টানা-পোড়েন, পারিবারিক দূর্নীতি ও লুটপাট,অন্য ধর্মের লোককে কিংবা যে কোন মানুষকে ছোট করে দেখা, প্রবল অহমিকায় এক ধরনের স্নবিশ আচরণ সাকার পারিবারিক শিক্ষা । সুতরাং এই ব্যাপারগুলো যে একধরনের সামাজিক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কিংবা সামাজিক অবকাঠামোর সাধারণ চিন্তা ও চেতনার বাইরে পড়ে তা কখনই সাকা জানতে পারেনি ।যেহেতু রাউজান ও গহিরা বরাবরই ছিলো হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত অঞ্চল, সুতরাং ফকার এই একটি চিন্তাই তার রাজনীতি দর্শনে স্থান পায় যে
, ভারত থেকে আসা এইসব হিন্দু তাকে কখনো ভোট দিবে না বা তাদের সমর্থন পাবে না । সে অঞ্চলে ওইসময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যাক্তি ছিলেন শ্রী নতুন চন্দ্র সিংহ । বিপুল দারিদ্রে্র পরেও তাঁর এই জনপ্রিয়তা বড় পশু ফজলুল কাদের চৌধুরীকে বরাবরের মতই ভেতরে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিতে থাকে যা কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের জায়গা নিয়ে নূতন বাবুর সাথে তার সংঘাত দেখে অনুমেয় হয় এবং ১৯৭১ সালে তাঁকে হত্যার মাধ্যমে (যা পরে বিস্তারিত লেখা হবে)ফকার ভেতরকার হিংস্রতা ও আক্রোশ আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারি । একটি, মজার তথ্য এখনই বলা উচিত যে, সে সময় ফকা চৌধুরীর বাড়িতে শুধুমাত্র চট্রগ্রামের আঞ্চলিক এবং তার বাইরে উর্দূতে কথা বলবার কঠিন নিয়ম ছিলো । সাকা চোধুরীর বেড়ে ওঠা এই ধরনের একটি অসুস্থ আবহের মধ্যে দিয়েই হয় । পারিবারিক সূত্র থেকে পাওয়া একটি তথ্য আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে যা হলো,সাকার নামে ছোট বেলা থেকেই প্রচুর অভিযোগ আসত । বিভিন্ন জনের সাথে মারামারি, দল বল সহ পিটানো, নির্যাতন এবং এই ব্যাপার গুলো নিয়ে ফকার বাসা পর্যন্ত বিচার চাইতে আসার সাহস কারো ভেতর ছিলো না । সুতরাং শৈশব আর কৈশোর থেকে সাকা পেয়ে যায় মানুষ কে মারবার ও আক্রমণ করবার এক পশুত্বের লাইসেন্স । জহুরী যেমন স্বর্ণ চিন্তে ভুল করেনা তেমনি বড় পশু ফকাও ছোট পশু সাকা কে চিনতে ভুল করেনি ।ফকা চৌধুরী ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো যে তার পশু মনের সত্যকারের ধারক ও বাহক হতে পারে একমাত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে খোকন ।বাবা ফকাচৌ এর আদর্শের হাত ধরে সাকা ক্রমাগত দূর্ধর্ষ হতে থাকে ।
১৯৭১ সালের এপ্রিলের শুরুতে সাকার পিতা ফকা চৌধুরী চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন পাক সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার শিঘ্র ও লে. কর্নেল ফাতেমির সঙ্গে এবং এই বৈঠকেই ফকা চৌধুরী প্রণয়ন করেন বাঙালি নিধনের নীলনকশা। ১০ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে এই নির্দেশনার সূত্রধরে পাক সেনাবাহিনী বাঙালি নিধন অভিযান শুরু করে।
আমি প্রথম পর্বের দুই নাম্বার অধ্যায়ে এই বলে শুরু করেছিলাম যে, ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল নুতন চন্দ্র সিংহ কে হত্যা করা দিয়ে দিয়ে যদি সাকার খুনী জীবন শুরু করা যেত, তবে নিজেকে সামান্য তম হলেও প্রবোধ দেয়া যেত এই ভেবে যে, সাকা পশুটি আগে মানুষ ছিলো । কিন্তু সাকা তার মানুষ হবার ধাপ গুলো হারিয়েছে পারিবারিক আবহ আর তার পশু বাবা ফকা চৌধুরীর জীবনের রস আস্বাদন করে করে । সাকার কথা বলতে এসে এই যে এত শীবের গীত গাইলাম তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো সাকার পারিবারিক কাঠামোর সাথে, চিন্তা ও চেতনার সাথে আপনাদের জানানো যাতে করে আপনাদের এই নরপশুটিকে ভুল না হয় । তারপরেও সাকার পারিবারিক জীবনের এই কান টানা টানি অনেকের মন পিঞ্জিরে আবেগ ও দুঃখ স্রোত হয়ে আমার মন মগজ পিঞ্জিরে বার বার প্রশ্ন করে যাচ্ছে এবং আমি এই আবেগ দেখে যারপরনাই অভিভূত !
১৯৭১ সালে্র ১৩ই সাকাচৌ তার পশু জীবনের একটি নতুন রূপ রেখা আমাদের সামনে তুলে ধরে যে , সাকা আসলে “শুধু” পশু না । জন্ম ও পরিচয়হীন ভাগাড়ে জন্ম নেয়া একটি বিভতষ ও হিংস্র পশু । ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দেয়া মেজর শরাফত চারটি ট্যাঙ্ক ও এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় চত্বরে প্রবেশ করে । সৈন্যদের সাথে পশু সাকা ও আর কিছু রাজাকারো সেখানে গাড়িতে করে আসে । কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় সমগ্র গহিরা,রাউজানে মানুষের উপকারে নিয়োজিত ছিলো মূলত তাদের দাতব্য কর্মকান্ডের জন্য । এছাড়াও বাবু নুতন চন্দ্র সিংহএর তত্বাবধানে সেখানে কুন্ডেশ্বরী বিদ্যাপীঠ স্থাপিত হয় যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব ছেলে মেয়ারাই পড়তে আসত । আগেই বলেছি, নুতন চন্দ্র সিংহ ছিলেন সেখানকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যাক্তি । মানুষের জন্য ওই অঞ্চলে তার অবদান ছিলো প্রবাদের মত । গ্রামের লোকেরাও এই কুন্ডশ্বরী ঔষধালয়ে বিভিন্ন ভেষজ় গাছ গাছড়া যোগার করে দিয়ে কিছু টাকা উপার্জন করতেন । দেশ ভাগের পর অনেক হিন্দুই দেশ ছেড়ে চলে গেলেও নুতন চন্দ্র সিংহ থেকে যান দেশের টানে আর মানুষের টানে ।২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর প্রায় ৪৭ জন অধ্যাপক সস্ত্রীক আশ্রয় নিয়েছিলেন কুন্ডেশ্বরী ভবনে । তাঁদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, ড. এ আর মল্লিক, ড. আনিসুজ্জামান প্রমুখ। পাকবাহিনী চট্টগ্রাম দখলের পর এরা সবাই ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান । বাবু নূতন সিংহকেও যাওয়ার কথা বলেছিলেন সবাই । উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি মরতেই হয় দেশের মাটিতেই মরবো।’ পরিবারের সবাইকে সরিয়ে দিয়ে নিজে কুন্ডেশ্বরী মন্দিরে অবস্থান করছিলেন। পাকসেনা আসতে পারে অনুমান করে উঠানে চেয়ার-টেবিলও সাজিয়ে রেখেছিলেন ।নতুন চন্দ্র পাক সেনাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে কুন্ডশ্বরী ঔষধালয় এবং সংলগ্ন কলেজের কর্মকান্ড ঘুরিয়ে দেখান এবং তাদের কাজকর্ম ব্যাখ্যা করেন । মেজর শরাফত নতুন চন্দ্র সিংহএর সমগ্র প্রতিষ্ঠান এবং তার বিদ্যাপীঠের কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে তার সব সৈন্য বাহিনী নিয়ে চলে যাবার জন্য ওঠে । কিন্তু সাকা চৌধুরী মেজর শরাফতকে জানায় তার বাবার কাছে খবর আছে যে নতুন বাবু এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছেন,খাওয়া দাওয়া সরবরাহ করছেন । একে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত ঝুঁকি পূর্ণ । এর পরেই মেজর শরাফতের হুকুমে বাবু নূতন চন্দ সিংহ কে তিনটি গুলি করা হয় যার একটি তার বাম চোখের নীচে লাগে ,একতি লাগে বুকে আরেকটি বাম হাতে । পশু সাকা তার বাবার ইচ্ছা তার পশু বাবার প্রতিদ্বন্দীর মৃত্যূ নিশ্চিত করতে এই ৭০ বছরের বৃদ্ধের বুকে আরো কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে । এই খবর দাবানলের মত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং গহিরা ও রাউজানের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক শোকের ছায়া নেমে আসে । ১৩ ই এপ্রিল ওই একই সৈন্য বাহিনী নিয়ে সাকা ও তার দলবল গহিরার আরেক বিশিষ্ট অধিবাসী চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের বাড়ী গিয়ে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালায় তার ছেলে দয়াল হরি বিশ্বাস কে বের করে দিতে, এবং চালের ড্রামে লুকায়িত হরি বিশ্বাস কে তার বাবার সামনেই বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় । এখানেও একটি তথ্য দেয়া প্রয়োজন যে, ভোটের সময় প্রকাশ্যে এই ছাত্র নেতা ফকা’র বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছিলো ।ওই একই দিন সাকা পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে রাউজানের প্রায় দুশ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে । এর দুদিন পর ১৫ এপ্রিল সাকা আবারও এক প্লাটুন পাক সৈন্য সহযোগে রাউজানে অভিযান চালায় । নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পথের হাটের আওয়ামী লীগ কর্মী হানিফের বাড়িতে ঢুকে তাকে হত্যা করে । জ্বালিয়ে দেয় জহুর আহমেদ চৌধুরীর জামাতা ও নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক ইজহারুল চৌধুরীর বসতবাড়ি । এছাড়াও ওই দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ভিপি আবদুর রব এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের শ্রমমন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর পুত্র ছাত্রলীগ নেতা খালেদকে ধরে এনে সাকার নির্দেশে হত্যা করা হয়। এরপর সাকার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী ঊনসত্তর পাড়ায় প্রবেশ করে ১৭০ জন নারী-পুরুষকে একটি পুকুর পাড়ে জড়ো করে হত্যা করে। সাকা সঙ্গী সেনাদের জানিয়েছিলেন, এরা সবাই মালাউন এবং ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাকাদের গুড হিলের বাসা ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান নির্যাতন কেন্দ্র ।১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারী প্রকাশিত দৈনিক বাংলায় একটি রিপোর্টে সাকা চৌধুরীর যুদ্ধবিরোধী কর্মকান্ড প্রকাশিত হয়, “সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী শত শত যুবকদের ধরে এনে চট্টগ্রামে তাদের গুড হিল বাংলো-তে নিয়ে আসতো এবং তাদেরকে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করতো। সেইসব হতভাগ্য লোকদের মধ্যে ছিলেন শহীদ ডাঃ সানাউল্লাহ্র পুত্র। ১৯৭১ সালের ১৭ই জুলাই সাকাচৌ ছাত্রনেতা ফারুককে ধরে আনে এবং পাকিস্তানী সেনাদের সাহায্যে তাকে হত্যা করে ।
“একাত্তরের জুলাইয়ে আমি, মুক্তিযোদ্ধা জুনু পাগলা, সৈয়দ ওয়াহিদ ও মিরাজ নগরীর হাজারী লেনের একটি পোড়া বাড়িতে বসে বৈঠক করছিলাম। সাকা এ খবর পেয়ে সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে আমাদের বন্দি করে গুডস হিলে নিয়ে যায়। টানা ১৪ দিন আমাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। গুডস হিলে বন্দি ছিল আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা। নির্যাতনের ফলে ওষ্ঠাগত বন্দিরা পানি খেতে চাইলে সালাহউদ্দিন কাদের প্রস্রাব করে মুক্তিযোদ্ধা তা পান করতে বাধ্য করত।”। সাকা ও তার পিতা ফজলুল কাদের (ফকা) এর গুড হিলসের টর্চার চেম্বারে নির্যাতিত রয়টার্সের সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন নির্যাতনের এরকম বর্ননা দিয়েছেন।
“গুডস হিলের নির্যাতন কক্ষে ছিল একটি টেবিল। ওই টেবিলের ওপর গাঁথা ছিল তিন ইঞ্চি মাপের অসংখ্য পেরেক। আর বন্দিদের সেই পেরেকের ওপর শুইয়ে ওপর থেকে কাঠের তক্তা দিয়ে চেপে ধরা হতো। ফলে বন্দিদের সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত ও রক্তাক্ত হয়ে পড়ত।মৃ্ত্যু পর্যন্ত অপেক্ষাই ছিল তাদের ভবিতব্য।” আরেক নির্যাতিত ফজলুল হক সওদাগরের ভাষ্য।
সাকা চৌধুরী, তার পিতা ফকা চৌধুরী ও তার সহযোগীরা চট্টগ্রামে তাদের ‘গুডস হিলে’ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এমনকি অনেক মেয়েদেরও তারা ধরে এনে পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের মনোতুষ্টির জন্য । ১৯৭১ সালের মে থেকে নভেম্বর – দীর্ঘ সাত মাস সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরের গুডস হিলে তার বেসরকারি জল্লাদখানা পরিচালনা করে। প্রতিদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক বা তাদের আশ্রয়, চিকিৎসা, ওষুধপত্র ইতাদি দিয়ে সহায়তাকারী বলে যাদেরই সন্দেহ করা হতো তাদের ধরে এনে গুডস হিলের এই ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো-প্রতিদিনই দুই-একজনকে হত্যা করা হতো এবং তাদের লাশ রাতে কারফিউ চলাকালে গাড়িতে করে নিয়ে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দিয়ে আসা হতো।
১৯৭২ সালের ২৯ শে জানুয়ারী মুজিব সরকারের সময় নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা মামলা দায়ের হয়েছিলো । নূতন চন্দ্রের ছেলে সত্যরঞ্জন সিংহসহ মোট ১২ জন সাক্ষী ছিলেন মামলায় ।মামলাটির ক্রমিক নম্বর ছিল ৪১(১)৭২ এবং ৪৩(১)৭২ । মামলার এফআইআর নং ইউ/এস/৩০২/১২০ (১৩)/২৯৮ বিপিসি/। ৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি বিচার শুরু হয়। আসামিদের মধ্যে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ পলাতক ছিল ৫ জন । পশু ফকা চৌধুরীসহ ৫ জন ছিল কারাগারে।ফকা অবশ্য এই মামলার কারনে ধরা পড়েনি, ১৯৭১ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ১০২ কেজি সোনা ও সাত লক্ষ টাকা নিয়ে আনোয়ারা দিয়ে একটি ট্রলারে করে বার্মা সীমান্তে পালাবার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে জাঙ্গিয়া পরা অবস্থায় ধরা পড়ে এবং তাকে অমানুষিক ভাবে মারধোর করবার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয় ।জেলে থাকা অবস্থাতেই পশু ফকার, পশু যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং পশুটি এই ধরাধাম কৃতজ্ঞ করে পটল তোলে ।
১৯৮৩ সালে সত্যরঞ্জন সিংহ মৃত্যুবরণ করায় এবং ইতিমধ্যে সাকা আবার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে প্রতাপশালী হয়ে উঠলে এবং পশুটির ক্রমাগত হুমকির কারনে পরিবারটি মামলা চালানো থেকে বিরত থাকে ।
( সামনের পর্ব গুলোতে আমি সাকার রাজনৈতিক পোল্টিবাজি, বংগবন্ধুর পরিবারের সাথে তার অন্তরংগ স্মপর্কের কথা, তার বিভিন্ন সময়ে দেয়া বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্নক ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ মুখ নিঃসৃত বর্জ্য,বর্তমান সময়ে তার সকল কর্মকান্ড, চট্রগ্রামে তার রাজনীতি করবার পদ্ধতিগুলো,পত্রিক য় তার নিজেকে প্রমোট করবার পদ্ধতি,চোরাচালানী কিছু চমকপ্রদক তথ্য,বর্তমান রাজনীতিতে তার টিকে থাকবার কৌশল,তার আন্তর্জাতিক গডফাদার, তার শক্তির উতস , সাকার পূত্র,কন্যা ও স্ত্রী’র হাল হকিকতসহ অন্য সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করব । আশা করছি আপনাদের সাকা পাঠ ঘৃনায় ঘৃনিত হয়ে উঠছে …)
চলবে…
|
September 4, 2009, 02:54 PM
|
Banned
|
|
Join Date: August 6, 2009
Location: Khilgao
Favorite Player: AshRaful,TaMiM,RajiB
Posts: 54
|
|
|
September 6, 2009, 02:42 AM
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: June 8, 2009
Posts: 3,934
|
|
keep posting here...=)
|
September 6, 2009, 04:21 AM
|
|
Cricket Sage
|
|
Join Date: March 26, 2007
Favorite Player: Bangladesh Team
Posts: 18,761
|
|
You didn't finish what is already posted; did you?
__________________
[Post CWC19 Consistency Record: [B]Test: W-0 L-0 D-0/B]// ODI: W-0 L-3 // T20: W-0 L-0]
|
December 16, 2010, 07:14 AM
|
Moderator
|
|
Join Date: June 15, 2004
Location: Tokyo <---> Dhaka
Posts: 14,850
|
|
Had to bump this thread for Jadukor.
Quote:
Originally Posted by Jadukor
Can you guys send me any links to reports which shows exactly what crimes he committed?... I know that He was not even in bangladesh at the time...
How easy is it in bangladesh to put people behind bars if you are in power! shob level ei BNP naile AL er lokjon... its a scary situation for those who dont have any political affiliation...
|
|
December 16, 2010, 07:24 AM
|
|
Cricket Guru
|
|
Join Date: October 18, 2008
Location: Global City of Australia
Favorite Player: Shakib, Mashrafe
Posts: 13,524
|
|
^ let me copy this thread link to that thread where he doubted on the Great Saka's ku-kirti ! thanks for digging out this thread. really sad to see the thread opener got banned !
|
December 16, 2010, 09:11 AM
|
|
Cricket Guru
|
|
Join Date: August 30, 2007
Location: Dhaka, Bangladesh
Favorite Player: A few
Posts: 10,854
|
|
Ah ha Omio vai is still banned :-(
__________________
Don't be a blind fan, be rational
|
Currently Active Users Viewing This Thread: 1 (0 members and 1 guests)
|
|
Posting Rules
|
You may not post new threads
You may not post replies
You may not post attachments
You may not edit your posts
HTML code is On
|
|
|
All times are GMT -5. The time now is 12:46 AM.
|
|