View Single Post
  #23  
Old July 16, 2008, 09:57 AM
Eshen's Avatar
Eshen Eshen is offline
Cricket Guru
 
Join Date: August 27, 2007
Posts: 14,497

সাবেক প্রধান নির্বাহীর কাঁধে ১.২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির দায় চাপাচ্ছে বোর্ড

ঢাকা, ১৬ জুলাই (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) --- নিম্বাসের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে ক্ষতির ঝুঁকি একদম কমিয়ে ফেলা হয়েছে। অবশ্য তার আগেই বেশ বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখা হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। এই যেমন ২০০৭ এর ১৫ মে বৃষ্টির জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে ম্যাচের একটি বলও না হওয়ায় লোকসান গুণতে হয়েছিল তাদের। নিম্বাস সেই সময় ন্যূনতম নিশ্চয়তামূল্য (মিনিমাম গ্যারান্টি অ্যামাউন্ট) থেকে কেটে রেখেছিল ১.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার (এক ডলার ৭০ টাকা হিসাবে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা)। চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আব্দুল মোমেন মনে করেন, ওই ক্ষতি এড়ানো যেত। কিন্তু কীভাবে?

এই প্রশ্নের উত্তরেই শোনা গেছে ক্ষীণ এক অভিযোগের সুর। যদিও তিনি অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে পছন্দ করেন না। উইনস্টন চার্চিলকে উদ্ধৃত করে অতীত নিয়ে পড়ে থেকে ভবিষ্যত হারানোর ভয়ের কথাও প্রায়ই বলে থাকেন। তবে ব্যবসায়িক কাজে মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে আব্দুল মোমেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-কে বলে গেছেন, "ইন্সুরেন্স করা থাকলে ওই টাকাটা আমাদের হারাতে হত না। তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (মাহমুদুর রহমান) আমরা জিজ্ঞেসও করেছিলাম, 'আপনারা ইন্সুরেন্স করেননি কেন?' উনি জানিয়েছিলেন, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়ামের দর নাকি বেশ চড়া। কিন্তু স¤প্রতি আমরা ইন্সুরেন্স করাতে গিয়ে দেখলাম, আসলে তা নয়।" ১.২ মিলিয়ন ডলার হারানোর দায় এই কথায় মাহমুদুর রহমানের কাঁধেই চেপে যাচ্ছে একরকম। তিনি এটা স্বীকার বা অস্বীকার না করে বলেছেন, "আমি আগে মোমেন সাহেবের সঙ্গে কথা বলে নিই। তারপর মন্তব্য করবো।"

তবে এর চেয়েও দশ গুণের বেশি অর্থ কোষাগারে জমা না হওয়ার দুঃখও আছে বিসিবির। সেজন্য অবশ্য বাংলাদেশে আসতে ভারতীয় দলের টালবাহানা দায়ী। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে নিয়ে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল ঢাকায়। যেহেতু ভারত ছিল, তাই ওই সিরিজের জন্য বেশ চড়া ন্যুনতম নিশ্চয়তামূল্যই ধরেছিল নিম্বাস।

কিন্তু আসরটি না হওয়ায় ওই টাকাটা আর পায়নি বিসিবি। ফিনান্সিয়াল কমিটির চেয়ারম্যান মোমেন অবশ্য অঙ্কটা প্রকাশ করতে রাজী নন, "দেখুন, দুই পক্ষের মধ্যেই গোপনীয়তা রক্ষার একটা নীতি আছে। এজন্য এটা জানানো সম্ভব হচ্ছে না।" যদিও বিসিবি'রই অন্য একটি সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ওই ত্রিদেশীয় সিরিজের ন্যুনতম নিশ্চয়তামূল্য ধরা ছিল ১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় একশো কোটি টাকার কাছাকাছি)। জুনে ত্রিদেশীয় কিটপ্লাই কাপ আয়োজন করে বড় এই আর্থিক ক্ষতির কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন মোমেন।

পুষিয়ে নেওয়ার একটা খতিয়ানও তিনি তুলে ধরেছেন এভাবে, "কিটপ্লাই কাপ আয়োজন করে স¤প্রচার খাত থেকে সাড়ে চার মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়েছে বলে জেনেছি। পাকিস্তানকে অংশগ্রহণ ফি হিসেবে ১০ কোটি টাকা (১.৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি) দিতে হয়েছিল, তবে ভারতকে দিতে হয়নি। মার্চে আসেনি বলে ওরা এই টুর্নামেন্টটা বিনা পয়সায় খেলে দিয়ে গেছে। ভারতকে অংশগ্রহণ ফি হিসেবে আরো বেশি দিতে হত। এই খাতে আমাদের কমপক্ষে দুই মিলিয়ন ডলার বেঁচে গেছে। সবমিলিয়ে সাড়ে ৬ মিলিয়ন....মার্চের টুর্নামেন্টটা না হওয়ার ক্ষতি কিছুটা তো পুষিয়ে নেওয়া গেছে।"

পুরোটা পুষিয়ে নেওয়া যায়নি। আবার ভারতের সঙ্গে একটা ম্যাচ না হওয়ায় হারাতে হয়েছে ১.২ মিলিয়ন। দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি সইয়ের দিন বলা হয়েছিল, ''ছয় বছরের চুক্তির ন্যূনতম নিশ্চয়তামূল্য (৫৬.৮৮ মিলিয়ন ডলার, চারশো কোটি টাকার মতো) ঠিকই থাকছে।" কিন্তু বিষয়টা তো আসলে তা নয়!


http://www.bdnews24.com/bangla/detai...d=30887&cid=26
Reply With Quote