November 11, 2011, 03:41 PM
|
|
Test Cricketer
|
|
Join Date: April 9, 2011
Favorite Player: Performing Tigers
Posts: 1,879
|
|
11 Nov 2011 10:57:43 PM Friday BdST
এসআই-পত্নীর নির্মম নির্যাতনের শিকার শিশু রোমেলা
পাবনা: পুলিশের এক এসআই ও তার স্ত্রীর নির্মম নির্যাতনে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে অসহনীয় যন্ত্রণায় ছটফট করছে গৃহকর্মী কন্যাশিশু রোমেলা খাতুন (৮)।
শিশু রোমেলাকে নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ না করায় পাবনার সাঁথিয়া থানার এএসআই আইয়ুব আলীকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
নির্যাতিত শিশুটির পরিবার সূত্র জানায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের গোটেংরা গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের শিশুকন্যা রোমেলা খাতুনকে ৯ মাস আগে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী নান্দিয়ারা গ্রামের ছেলে এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহেদ আলী।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই মাত্রারিক্ত দৈনন্দিন কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয় ৮ বছরের ওই শিশু গৃহকর্মীর ওপর। কাজের ক্ষেত্রে সামান্য ভুল হলেই তার ওপর চালানো হয় অসহনীয় নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের দু’দিন আগে সামান্য একটি কাচের প্লে¬ট ভাঙার অপরাধে শিশুটিকে বেদম নির্যাতন করে এসআই শাহেদের স্ত্রী সুইটি বেগম।
কোরবানির ঈদে এসআই শাহেদ আলী পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বেড়াকোলা গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন জানতে পেরে গত ৯ নভেম্বর রোমেলার পিতা ইয়াজ উদ্দিন সেখানে গিয়ে মেয়েকে আহত অবস্থায় দেখতে পান। অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইলে এসআই শাহেদ প্রথমে বাধা দেন। একপর্যায়ে আত্মীয়দের চাপে এসআই শাহেদ আলী রোমেলাকে তার বাবার হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন।
পরে ইয়াজ উদ্দিন তার শিশুকন্যাকে বাড়িতে আনার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে আলাপকালে রোমেলার বাবা ইয়াজ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, আট মাস আগে মেয়েকে ওই দারোগার বাসায় পাঠানোর পর থেকে মেয়ের কোনো খবর তারা পাননি। এ আট মাসে মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে তাদের মাত্র একবার কথা হয়েছে। মোবাইল ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বলা হতো ‘আপনার মেয়ে ভালো আছে, এখন কথা বলা যাবে না।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোমেলা জানায়, নিয়ে যাওয়ার পর প্রথম কিছুদিন কোনো কিছু না বললেও কিছুদিন পর থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু করা হয়।
সে বলে, ‘দারোগার বউ কথায় কথায় আমাকে খুব মারতো।’
রোমেলা আরও জানায়, প্রায় ১৫ দিন আগে তার হাত থেকে কাচের একটি প্লেট পড়ে ভেঙে গেলে দারোগা শাহেদের স্ত্রী তাকে বেদম মারধর করে। তার সারা শরীরে গরম খুন্তির ছেঁকা দেওয়া হয়। তার সারা শরীর পুড়ে ঘা হয়ে যায়।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাইরোজা বেগম বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে শিশুটির ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তার শরীরের ক্ষতচিহ্নগুলোও খুব গভীর। শিশুটি সুস্থ হয়ে গেলেও তার ক্ষত চিহ্ন থেকেই যাবে।
রোমেলার চাচা আজিজল খাঁন অভিযোগ করে বলেন, ‘এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে কর্তব্যরত এএসআই আইয়ুব আলী অভিযোগ নেননি। যে থানায় ঘটনা সেই থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বলে তিনি আমাদের ফিরিয়ে দেন।’
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে সীতাকুন্ডু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহেদ আলীর সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রায় ২০ দিন আগে রিকশায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজির ধাক্কায় রিকশা থেকে পড়ে রোমেলা আহত হয়। এর পাঁচদিন পরে বাসায় কাজ করার সময় শরীরে গরম পানি পড়ে সে আহত হয়।’ রোমেলাকে কোনো আঘাত করার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
এদিকে শিশু রোমেলাকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ না করায় সাঁথিয়া থানার এএসআই আইয়ুব আলীকে পাবনার পুলিশ সুপার শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্লোজড করেছেন।
পাবনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বাংলানিউজকে বলেন, ‘অভিযোগ গ্রহণ না করার দায়ে ওই সময়ের ডিউটি অফিসার এএসআই আইয়ুব আলীকে ক্লোজড করে পাবনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে এএসআই আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোন থানার ঘটনা ও এসআই’র নাম কি অভিযোগকারীরা সেটা বলতে পারেননি। তাদের বলেছিলাম সব জেনে তারপর অভিযোগ নিয়ে আসতে। কিন্তু তারা আসেনি। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জানতে পারলাম আমাকে ক্লোজড করা হয়েছে।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, শিশু রোমেলাকে নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগটি গ্রহণ করে সেটি চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডু থানায় পাঠানো হবে এবং ওই থানাতেই মামলা হিসেবে নথিভূক্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১১
__________________
-- Alwayz with !!! Champions are made from something they have deep inside them - a desire, a dream, and a vision!
-- Bangladesh are the Runners-up in the 2012 ASIA Cup!
|