Its a biased Committee , not good for our cricket . All the members are from Dhaka , rest of the Country was denied !!
অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যদের বাছাই-প্রক্রিয়া বা বাছাইয়ে কোন কোন দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল, এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। যথারীতি ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের নিয়েই গড়া হয়েছে কমিটি। বিকেন্দ্রীকরণকে বুড়ো আঙুল দেখানো হয়েছে আবারও। কমিটিতে ঢাকার বাইরে থেকে নেওয়া হয়েছে একজনকে—চট্টগ্রাম র আ জ ম নাসিরউদ্দিন। তিনিও সম্প্রতি ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হয়েছেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের মাধ্যমে। সাবেক দুই টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর ও মাহমুদ ছাড়া বাকি সবাই ঢাকার ক্লাব কর্মকর্তা। লোকমান ভূঁইয়া মোহামেডানের ডিরেক্টর ইনচার্জ। ডা. মল্লিক আবাহনীর ক্রিকেট কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, মেয়াদোত্তীর্ণ বিসিবির মেডিকেল কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সদস্য হিসেবে নতুন কমিটিতে আসার ব্যাপারে যেটি সবচেয়ে বেশি বিবেচিত হয়েছে বলে ধারণা করেন ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, তা হলো, তিনি বিসিবি সভাপতির ওষুধশিল্পপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার একজন চাকুরে ও তাঁর বিশেষ স্নেহধন্য। গোলাম মুর্তজা গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের কাউন্সিলর। আফজালুর রহমান সিনহা সূর্যতরুণ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, তিনি অবশ্য এর আগেও বোর্ডে ছিলেন।
ক্রিকেট ছাড়ার পর খালেদ মাহমুদ কিছুদিন ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ। পরে কোচিং করিয়েছেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট ও বিপিএলে। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন বেশ কিছুদিন। এখন তিনি ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট।
শুধু নির্বাচন পরিচালনাই নয়, এই কমিটিকে নৈমিত্তিক অনেক কাজও করতে হবে। কেননা, বিসিবির নির্বাচিত কমিটি অবলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ১৬টি স্ট্যান্ডিং কমিটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সিনিয়র কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চলমান সিরিজ ব্যবস্থাপনা কমিটি অপরিবর্তিত থাকবে, অপরিবর্তিত থাকবে খুলনার স্থানীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমিটি ও ক্রিকেট নির্বাচক কমিটি। অবলুপ্ত স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো গঠন করতে দু-এক দিনের মধ্যেই সভাপতি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সভা ডাকবেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এই কমিটি কি সময়মতো নির্বাচন করতে পারবে? বিসিবি সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। তিনি নিজেও সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে চান। এই কমিটির সদস্যদের অনেকেই নির্বাচন করতে চান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মূলত নির্বাচন তত্ত্বাবধানকারী এই কমিটিতে থেকেও নির্বাচনে প্রার্থী হতে নাকি কোনো বাধা নেই। যদিও গঠনতন্ত্র এই দাবি সমর্থন করে কি না প্রশ্ন আছে। তবে ক্রিকেটাঙ্গন চায়, নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কমিটি থেকে সরে দাঁড়াবেন।
বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চান। সাবের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে এ নিয়ে তাঁর আলোচনাও হয়েছে। নির্বাচন করবেন কি না, জানতে চাইলে কাল সিঙ্গাপুর থেকে তিনি টেলিফোনে হ্যাঁ-সূচক উত্তর দিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করব, বিসিবির নির্বাচনটা হবে আদর্শ, সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং এ নিয়ে পরে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।’
|