March 6, 2010, 03:36 PM
|
|
Cricket Guru
|
|
Join Date: August 27, 2007
Posts: 14,497
|
|
‘প্রয়োজনে হাত খুলেও খেলতে পারি’
নিউজিল্যান্ডে একমাত্র টেস্টে ছিলেন একাদশের বাইরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে চলে গেলেন দলেরই বাইরে। তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে তিন দিনের ম্যাচে মাঠে নামার আগের দিন রকিবুল হাসান জানালেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে থাকার আশা করছেন তিনি...
বেশ কিছুদিন টানা খেলার পর ওয়ানডে দলের বাইরে থাকতে হলো, কেমন লেগেছে?
রকিবুল: আসলে এটা ক্রিকেটজীবনেরই অংশ। এ সিরিজের ওয়ানডে দলের বাইরে থাকার আগে নিউজিল্যান্ড টেস্টেও একাদশের বাইরে ছিলাম। আসলে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দুটো আমি ভালো খেলতে পারিনি। তো কোচ-নির্বাচকেরা যা ভালো মনে করেছেন, তা-ই করেছেন।
নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলা না হলেও স্কোয়াডে কিন্তু ছিলেন। এখন ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছেন, টেস্টেও এমন হওয়ার আশঙ্কা করছেন?
রকিবুল: আমি তো আশা করছি দলে থাকব। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভালো করতে পারিনি, কিন্তু তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে কিন্তু খারাপ করিনি। তার পরও নির্বাচক-কোচ-অধিনায়ক দলের জন্য যা ভালো মনে করেন, করবেন।
রান পাচ্ছিলেন না বলেই কিন্তু ওয়ানডেতে বাদ পড়েছেন...
রকিবুল: আমি এ কথায় ঠিক একমত নই। ওয়ানডেতে রান একদমই পাইনি তা কিন্তু নয়। ত্রিদেশীয় সিরিজে ২৮, ৩২, ৪৩ করেছি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ৪৪ করেছি। মোটামুটি ভালো অবস্থাই ছিল। শুধু ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই রান পাইনি।
কিন্তু ৩০-৪০ রানে সন্তুষ্ট হওয়ার পর্যায়ে কিন্তু বাংলাদেশ দল এখন আর নেই, আপনার কী মনে হয়?
রকিবুল: তা ঠিক। এটা আসলে ভাগ্য। আমি চাই, দলের জন্য বড় ইনিংস খেলতে, কিন্তু ৩০-৪০ করে আউট হয়ে যাচ্ছি। আশা করি সামনে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।
এই প্রস্তুতি ম্যাচটাকে কীভাবে দেখছেন?
রকিবুল: খুব বেশি কিছু ভাবছি না বা চাপ নিচ্ছি না। আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করব।
নির্বাচকদের একজন আকরাম খানের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখলাম...
রকিবুল: আমার ব্যাটিং নিয়েই কথা বলছিলেন, এই ছোটখাটো কিছু টেকনিক্যাল দিক নিয়ে। আর উত্সাহ দিলেন, বললেন দল থেকে বাদ পড়ার জন্য যেন মনোবল না হারাই। অনেক সুযোগ আসবে, এসবই আর কি!
অনেকের অভিযোগ, আপনার ব্যাটিংটা একটু ধীরগতির, বর্তমান সময়ের জন্য ঠিক মানানসই নয়। আপনার কী মনে হয়?
রকিবুল: আমার তা মনে হয় না। যারা এ রকম বলে, তাদের চিন্তা-ভাবনায় ভুল আছে, নয়তো তারা ক্রিকেটটা পুরোপুরি বোঝে না। আমি সব সময় কন্ডিশন এবং দলের অবস্থা বুঝে ব্যাটিং করার চেষ্টা করি। যখন দু-তিনটি উইকেট পড়ে যায় তখন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে উইকেট থ্রো করে আসাটা নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং দু-একটি জুটি গড়ে দলের অবস্থা ভালো হলে আবার রানের গতি বাড়ানো যায়। আর আমাদের দলের পরিকল্পনাটাই এ রকম, দলে সবারই কিছু নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। ধরে খেলার দরকার হলে ধরে খেলি, প্রয়োজনে হাত খুলে খেলতেও পারি।
গত কিছুদিনে যেমন খেলেছেন, প্রথম দিকে কিন্তু আপনি এর চেয়ে আরেকটু হাত খুলে খেলতেন?
রকিবুল: আসলে বেশির ভাগ সময়ই আমাকে এমন অবস্থায় নামতে হয়েছে, যখন বেশ কিছু উইকেট পড়ে গেছে, তাই একটু ধরে খেলতে হয়েছে। সেট হওয়ার পর অনেক সময়ই ইনিংসটাকে টেনে নিতে পারিনি, পারলে হয়তো স্ট্রাইকরেট পুষিয়ে দেওয়া যেত।
অনেক জোরে মারতে পারেন বলে নাকি সতীর্থরা আপনাকে ফ্লিনটফ বলে ডাকে?
রকিবুল: অনুর্ধ্ব-১৯ দলে আমাদের যখন প্র্যাকটিস হচ্ছিল, তখন একবার ছয় মারার প্র্যাকটিস হচ্ছিল। সেই সময় অনেকগুলো ছয় মেরেছিলাম। এ জন্য তখন থেকেই সবাই ফ্লিনটফ বলে ডাকে।
শোনা যায় কোচ কেমি সিডন্স আপনাকে একটু বেশি পছন্দ করেন বলেই নাকি এত সুযোগ পাচ্ছেন?
রকিবুল: দেখুন, শুধু আমাকে নয়, জেমি আমাদের প্রতিটি ক্রিকেটারকেই অনেক পছন্দ করেন, সবাইকেই অনেক ভালোবাসেন। কোচ হিসেবেও ও দারুণ। বিশেষ করে আমরা ব্যাটসম্যানেরা অনেক উপকৃত হয়েছি ওর কাছ থেকে, অনেক টেকনিক্যাল বিষয় শিখেছি।
http://prothom-alo.com/detail/date/2...-07/news/47058
|