আবুল হাসানের কপালটাই খারাপ। মেরুদণ্ডের ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলেন অনেক দিন ধরে। অস্ত্রোপচারের জন্য অস্ট্রেলিয়া যাই যাই করেও যাওয়া হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত যখন গেলেন, একবারের জায়গায় দুবার অস্ত্রোপচার করে দেশে ফিরছেন জাতীয় দলের এই পেসার।
মেলবোর্নের বিশেষজ্ঞ শল্যবিদ গ্রেগ মেলহাম আবুল হাসানের মেরুদণ্ডে প্রথম অস্ত্রোপচারটি করেন গত ৭ অক্টোবর। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সপ্তাহ খানেক পরও ব্যথা না কমায় মেলহাম একই জায়গায় দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিসিবির অনুমতি চান। বিসিবির অনুমতি না দিয়ে উপায় ছিল না। এরপর গত ২৫ অক্টোবর আবুল হাসানের পিঠের একই জায়গায় একই অস্ত্রোপচার হয় আবারও। বিসিবি সূত্রের তথ্য, দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পর ভালো আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ১০ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করা পেসার। আগামীকাল আবারও তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন মেলহাম। সব ঠিকঠাক থাকলে দেশে ফিরবেন ১৬ নভেম্বর। তবে মাঠে ফিরতে সময় লাগবে কমপক্ষে তিন মাস।
দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের পর নাকি সাফল্যের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী চিকিৎসক মেলহাম। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী কাল টেলিফোনে বলছিলেন, ‘মেলহাম আমাদের জানিয়েছেন, দুবার অস্ত্রোপচার হলেও সুস্থ হতে রাজুর (আবুল হাসান) একই সময় লাগবে। পরের অস্ত্রোপচারটা খুব ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখন ব্যথা অনেক কম। এটাও বেশি দিন থাকবে না।’ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে নামী চিকিৎসকের কাছে গিয়েও একই অস্ত্রোপচার দুবার করাতে হওয়াটা হতাশাজনক কি না, জানতে চাইলে দেবাশিসের উত্তর, ‘আমরা তো খোঁজখবর নিয়ে ভালো জায়গাতেই ওকে পাঠিয়েছি। মেলহাম এ ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য বিশেষজ্ঞ। আমরা এটাকে ভুল চিকিৎসা বলব না। হয়তো প্রয়োজন মনে করেছেন বলেই দুবার অপারেশন করেছেন।’
মেলহামের দুবার অস্ত্রোপচারের ‘প্রয়োজন অনুভব’ করা বাড়িয়ে দিয়েছে আবুল হাসানের অস্ত্রোপচারের খরচও। প্রথমে যেখানে বাজেট ছিল ২৫ লাখ টাকার মতো, এখন সেখানে বিসিবির ব্যয় হবে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
http://www.prothom-alo.com/sports/ar...A6%BE%E0%A6%A8