View Single Post
  #1  
Old May 16, 2011, 07:54 PM
idrinkh2O's Avatar
idrinkh2O idrinkh2O is offline
Test Cricketer
 
Join Date: April 9, 2011
Favorite Player: Performing Tigers
Posts: 1,879
Default This Story made My Day!!!

I couldn't find any proper thread to post the stories. Mod if there is any, can you please merge it. Thanks!
------------------------------------------------------------------------------------------

এসএসসি ’১১: অদম্য মেধাবী
শ্রমে অধ্যবসায়ে অনন্য ওরা

বিশাল বাংলা ডেস্ক | তারিখ: ১৭-০৫-২০১১



হামিম মোল্যা,রানা সরকার, মরিয়ম জাহান ও সুমন সরকার

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই সচ্ছল পরিবারের সন্তান। মা-বাবার আদর পেয়ে এবং প্রাইভেট পড়ে ভালো ফল করেছে তারা। তবে এসব কৃতী শিক্ষার্থীর মধ্যে কারও কারও সাফল্য মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো। কারণ, তারা প্রাইভেট পড়তে ও কোচিং করতে পারেনি। ভালো কাপড় গায়ে ওঠেনি। অনেককে অর্থ উপার্জন করে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে। শত বাধা ও কষ্টের মধ্যেও তারা পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফল করেছে।
কখনো শ্রমিক, কখনো ভ্যানচালক: আড়াই শতক জমির ওপর পাটকাঠির বেড়ার ছোট্ট ঘর। বৃষ্টি হলেই ঘরের সবকিছু ভিজে যায়। মা রেবেকা খাতুন পঙ্গু। বাবা আহাদ আলী (৫৮) দিনমজুর। বয়স বেশি হওয়ায় আয় কমে গেছে। তাই কখনো অন্যের জমিতে কৃষিশ্রমিক হিসেবে, আবার কখনো ভ্যান চালাতে হয়েছে তাকে। সব কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে লেখাপড়া করত সে। নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। সব সময় দুবেলা খেতেও পারেনি। এভাবে ঘাম ঝরিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। এই কৃতী ছাত্রের নাম হামিম মোল্যা। বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল গ্রামে। সে উপজেলার বড়দিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান জানান, হামিম প্রাইভেটও পড়তে পারেনি। পরিবারের প্রয়োজনে সে ভ্যান চালিয়েছে এবং কৃষিশ্রমিকের কাজ করেছে।
বাদাম বিক্রি করে লেখাপড়া: বাবা ইউনুস আলী কয়েক বছর ধরে নিখোঁজ। মা সুফিয়া খাতুন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। সাত ভাইবোনের সংসারের অভাব দূর করতে পঞ্চম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় বাদাম বিক্রি শুরু করে সে। এভাবে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। সারা দিন লেখাপড়া করে সন্ধ্যার পর বাদাম বিক্রি করত, রাতে এসে আবার লেখাপড়াও করত। এভাবে নানা বাধা পেরিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। তার নাম রানা সরকার। বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সুমারুভিম শীতলাহাজীপাড়া গ্রামে। সে উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। রানা জানায়, পরীক্ষা দিয়েই কাজের উদ্দেশ্যে সে ঢাকার গাজীপুরে চলে যায়। সেখানে ইটভাটায় মাটি কাটার কাজ করার সময় পরীক্ষার ফল জানতে পেরে আনন্দে কেঁদে ফেলে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রানা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি মাত্র।’
মায়ের সঙ্গে সেলাইয়ের কাজ করত সুমি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা শহরের নাচনপাড়া এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস। বাবা মোজাম্মেল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। মা তাছলিমা বেগম কাপড় ও কাঁথা সেলাই করে সংসার চালান। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করে মেয়ে মরিয়ম জাহান সুমি। দুবেলা খাবার জোটে না তাদের। এত কষ্টের মধ্যেও পড়ালেখা চালিয়ে গেছে সুমি। কষ্ট করার ঈর্ষণীয় ফল সে পেয়েছে। খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শামসুল হুদা বলেন, ‘ও মেধাবী। তবে বাবার অসুস্থতা তাঁকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল। তার পরও পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতার কারণে সে ভালো ফল করতে পেরেছে।’
কাজের ফাঁকে লেখাপড়া: ‘দোকান কর্মচারীর পরিচয় ভুইল্লা যাইয়া কিছু সময়ের লাইগ্যা ছাত্র হওয়ার স্বাদ পাইলাম। সবাই যহন কয়, তুই ভালো রেজাল্ট করছোস, তহন কান্না আয়। হগোলডির চাইতে বেশি খুশি মোর বাবা ও মা। মুইও খুশি।’ জিপিএ-৫ পাওয়ার পর এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দোনারকান্দি গ্রামের জগদীশ সরকারের ছেলে সুমন সরকার। সে বাকাই নিরঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়। স্থানীয়রা জানায়, সুমনের বাবা ও মা দিনমজুরির কাজ করেন। অভাবের কারণে সপ্তম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় সে বাকাই বন্দরের একটি মুদি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করে। ওই দোকানের মালিক শাহজাহান মিয়া জানান, সুমন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে কাজ করে। সন্ধ্যার পর সে বাড়িতে গিয়ে লেখাপড়া করত। বাকাই নিরঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরুলক্ষ্ম নাথ নাগ জানান, ‘নিয়মিত ক্লাসে আসতে না পারলেও লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তার। সে কোনোদিন প্রাইভেটও পড়েনি।’
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন সফি খান, কুড়িগ্রাম; কার্ত্তিক দাস, নড়াইল; জহুরুল ইসলাম, গৌরনদী (বরিশাল) ও নেছারউদ্দিন আহমেদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)]
(Source: http://www.prothom-alo.com/detail/da...17/news/154849)
__________________
-- Alwayz with !!! Champions are made from something they have deep inside them - a desire, a dream, and a vision!
-- Bangladesh are the Runners-up in the 2012 ASIA Cup!

Last edited by RazabQ; December 14, 2011 at 11:54 AM.. Reason: added bangla tag
Reply With Quote