যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করতে পারিনি। সেটা দুঃখজনক। কিন্তু আজকে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষ কি সুবিচার পাচ্ছে? এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, খুন, সন্ত্রাস, রাহাজানি, জবাই করে মানুষ হত্যা, লুট-সংবাদপত্র খুললেই এই ধরণের খবর কী চোখে পড়ে না? এখানে কী নির্যাতিতরা বিচার পায়? পায় না। তারপর রাজনীতিবিদের কথা ধরেন। শেখ মুজিব নিজে বলেছিলেন, “মানুষ পায় সোনার খণি, আমি পেয়েছি চোরের খণি।“ চোর আবার কেমন চোর জানেন? শেখ সাহেবের সময় বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য বিদেশিরা সাড়ে সাত কোটি কম্বল দিয়েছিল। মুজিব বলেছেন, আমি নিজের কম্বল্টাই পাই নাই। তাহলে চিন্তা করূন, সেই, সেই মুজিবের আমল থেকে যারা বাংলাদেশের গরিব দুস্থ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, কুলি-মজুরদের পয়সা হাতিয়ে আজ বড়লোক বনে গেছে, তাদের বিচার কে করবে? এখন হয়তো কিছু রুই-কাতলা ধরা পড়েছেন, কিতু নির্বাচনের পর যে আবার পুর্বের চেহারা আবির্ভুত হবে না তার গ্যারান্টি কী? আর পাকিস্তানি আমালের রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের চেয়েও যে ভয়ঙ্কর জীব বাংলাদেশে পয়দা হয়েছে, তা কী জানেন? তাদের কয়েকজন হল জয়নাল হাজারী, সাকা চৌধুরী। এরা স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের উপর যে অত্যাচার করেছে, তা যুদ্ধাপরাধীদের নারকীয়তাকেও হার মানায়। শ্রী ঘরে পুরেই কী বিচার পর্ব খতম? স্বাধীনতা কি তাহলে রাজনৈতিক গন্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকল না? কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ কিন্তু রাজনৈতিক গণ্ডিতে আবদ্ধ ছিল না। এর জবাব কে দেবে?আমি তো মনে করি আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে যারা এই অপরাধগুলো করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তারা সেই পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের চেয়েও সৌভাগ্যবান।
|