View Single Post
  #1  
Old December 16, 2006, 12:36 AM
kalpurush's Avatar
kalpurush kalpurush is offline
Moderator
 
Join Date: June 7, 2005
Location: Victoria: Heaven's Earth!
Posts: 19,200
Default Chomothker T I N .. 2006!


2006 is a great year for Bangladesh cricket as well as for me too! I have the privilege to spent some good time and shared our passion for BD cricket with my BC forum friends. During this time, I enjoyed many posts/comments which were excellent in many aspects and influenced me to recognized at least few of them.
Below, my Top Three!
Which is yours?

N.B. I enjoyed countless of Fazal bhai's posts, therefore, can't afford prizes for him!


1.
a) Post by: babubangla:

আশরাফুল ও রাবিদ ইমামঃ একটি বিশেষ অসমাপ্ত সাক্ষাতকার !!


চট্রগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট চলছে। বাইরে বইছে উতাল হাওয়া। মেঘের প্রবল গর্জন। সেই সাথে আকাশ ভেঙ্গে নেমেছে বৃস্টির অবিরাম ধারা। খেলা থেমে আছে। ড্রেসিং রুমের বারান্দায় বসে আছে আশরাফুল। উদাস মনে তাকিয়ে দেখছে মেঘলা আকাশ। উদাসী আশরাফুলকে দেখে তার পাশে গিয়ে বসলেন সাংবাদিক রাবিদ ইমাম।



রাবিদঃ আশরাফুল, একা বসে করছো কি?

আশরাফুলঃ এইতো রাবিদ ভাই, বসে বসে বৃস্টি দেখছি, মেঘলা দিন, মনটা উদাস

রাবিদঃ উদাস হবার মতো কতো কান্ড-ই তো ঘটছে-- মনতো উদাস থাকবেই। আমি তো দেখে ভাবলাম মিস্টি রোমান্টিক কোন কবিতা লিখতে বসেছো বুঝি

আশরাফুলঃ ধুর যা, কি যে বলেন। মিস্টি রোমান্টিক কবিতা আমি কি লিখবো? আমি কি লিখালিখি করি নাকি? তবে মিস্টি রোমান্টিক কিছু শট কিন্তু খেলার চেস্টা করছি আমি আজকাল।

রাবিদঃ খেলার প্রসঙ্গ-ই যখন এল, তবে এসো আলতু ফালতু কথাবার্তা রেখে তোমার একটা ফরমাল ইন্টারভিউ নেই।

আশরাফুলঃ ঠিক আছে, আলতু ফালতু কথাবার্তা সব বাদ- একদম ফরমাল ইন্টারভিউ।

রাবিদঃ ভেরি গুড। মনে রেখো, বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে তুমি এখন ইন্টারভিউ দিচ্ছো। আচ্ছা, তোমার খেলায় অবস্থা এখন কেমন? শ্রীলংকার সাথে খেলার পর থেকেই অফ ফর্ম মনে হচ্ছে।

আশরাফুলঃ আসলে সব খেলোয়াড়ের জীবনেই কখনো কখনো এরকম খারাপ সময় আসে, কিছুতেই আর কিছু হয় না।
কিন্তু আমার সমস্যাটা একটু কেমন যেন অন্যরকম। আমার অফ ফর্ম বা খারাপ সময়টাই নরমাল। আর কখনো কখনো ভাল ফর্ম আসে- তখন আর কিছুতেই কিছু হয় না- পিটাইয়া সবাইরে পোতাইয়া ফালাই।

রাবিদঃ কেনিয়ার সথে কিছু হল না; আমরা তো ভাবলাম ভাল অপোনেন্ট না হলে তোমার খেলার রুচি আসে না। তাই আশা ছিলো অস্ট্রেলিয়ার সাথে তোমার খেলার রুচি আসবে, তোমার গায়েবি ফর্ম আবার নাযিল হবে বা তোমার ভাষায় “পোতাইয়া ফালাইবা”। কিন্তু হলো না তো?

আশরাফুলঃ আরে রাবিদ ভাই, দেখলেন কিছু হেভি একখান ঠাডা পরলো। ইস, এই ঠাডা-ডা নিয়া যদি গিলেস্পির মাথায় নিয়া ফালাইতে পারতাম!!

রাবিদঃ আশরাফুল, আশরাফুল। আলতু ফালতু অপ্রাসঙ্গিক কোন কথা না। বললাম না এটা ফরমাল ইন্টারভিউ হচ্ছে।

আশরাফুলঃ ও আচ্ছা, সরি। জানি যে এটা ফরমাল ইন্টারভিউ হচ্ছে- হঠাৎ করে কি যে হইলো, ফালতু কথা বলা শুরু করলাম।

রাবিদঃ যাই হোক, খেলার প্রসংগে আসি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে এসব কি খেলছো?

আশরাফুলঃ আসলে এটাকিং শট খেলে তো অনেক আউট হলাম। তো এবার ভাবলাম এটাকিং বাদ দিয়া মিস্টি রোমান্টিক শট খেলি। কিন্তু দেখা গেল- অস্ট্রেলিয়ানরা খুব-ই বেরসিক। রোমান্টিকতার কোন দাম দেয় না। বর্বর পাষন্ডের মতো আমাকে খালি উপূর্যপরি আউট করে দেয়।

রাবিদঃ তা তুমি হঠাৎ করে ক্রিকেটে এই রোমান্টিকতা আমদানি করতে গেলে কেন?

আশরাফুলঃ হি হি হি, দেখেন দেখেন গ্রাউন্ডসম্যান একটা আছার খাইছে। লুঙ্গি লইয়া মাঠে পানির মইধ্যে চিতপটাং।

রাবিদঃ আশরাফুল, আশরাফুল। ফরমাল ইন্টারভিউ’র মাঝে আবারো বাজে কথা? এসব হচ্ছেটা কি?

আশরাফুলঃ সরি ভাই, আমি জানি যে এটা ফরমাল ইন্টারভিউ এবং দলের মান সন্মান এর সাথে জড়িত। কিন্তু কখন যে মনোযোগ হারিয়ে আবার ফালতু কথা বলার ইচ্ছা চলে এলো!!

রাবিদঃ যাই হোক, তোমার নতুন কিউট, মিস্টি, রোমান্টিক শট খেলার প্রবনতার কথা বলছিলে।

আশরাফুলঃ ও হ্যা, মডেল মোনালিসার সাথে ফটোসেশন করার সময় মোনালিসা বলেছিলো যে আমার কিউট চিকি শট গুলো ওর খুব পছন্দ। তাই প্ল্যান করেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুহাতে এই কিউট চিকি রোমান্টিক শট গুলো খেলবো আর মুখে রাখবো মিস্টি একটু হাসি। স্টেডিয়ামে দর্শকদের মনে হবে- খেলার মাঠ নয়, তারা যেন এসেছে কোন এক ডেটিং স্পটে।

রাবিদঃ মডেল মোনালিসা একটা কথা বললো আর তুমি অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সাথে সেই শট খেলা শুরু করে দিলে?

আশরাফুলঃ আসলে তা নয়, আমার খালাতো বোনের ছেলে আদনান আর বাড়ীওয়ালার ছেলে রিফাতের সাথে বাসার পিছনের উঠানে যখন খেলছিলাম- বেশ সুন্দর হচ্ছিলো কিন্তূ শট গুলো। শুধু অস্ট্রেলিয়ার সাথে এসেই সব কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।

রাবিদঃ আদনান-রিফাত আর অস্ট্রেলিয়া এক হলো? তুমি কোচের সামনে নেটে প্রাকটিস করেছিলে এই রোমান্টিক শট?

আশরাফুলঃ হে হে হে!! ধর ওইটারে, ভালো কইরা চুবা পানির মইধ্যে। দেখলেন রাবিদ ভাই, বলবয় গুলা বৃস্টির পানির মধ্যে একটা আরেকটারে ধইরা চুবাইতেছে—ভেরি ফানি।

রাবিদঃ আশরাফুল, আশরাফুল। এতো অমনোযোগী হলে হবে? কতবার মনে করিয়ে দিব যে এটা ফরমাল ইন্টারভিউ। বারবার একই ভুল করছো?

আশরাফুলঃ সরি ভাই, জানি যে এটা ফরমাল ইন্টারভিউ। দলের কথা মাথায় রেখে দায়িত্বশীল ভাবে ইন্টারভিউ দিতে হবে। হয়তো এই দায়িত্বশীলতার চাপেই সব গুলিয়ে ফেলে একটু পর পর সব ভুলে আলতু ফালতু কথার প্রসঙ্গ আনছি।

রাবিদঃ যাই হোক, বলো কি বলছিলে।

আশরাফুলঃ ও হ্যা, নেটে তো আর সব কিছু প্রাকটিস করার সময় হয়ে উঠে না। দলের সবার প্রত্যাশা আমি অবস্থা বুঝে দায়িত্ব নিয়ে খেলি, আমজনতা দর্শকদের প্রত্যাশা “বুম-বুম আশরাফুল”, মডেল মোনালিসার প্রত্যাশা কিউট রোমান্টিক শট। এই সেন্সিবল ক্রিকেট, বুমবুম ক্রিকেট আর কিউট রোমান্টিক- সব মিলিয়ে খেলতে গিয়ে আমি নিজেই “হাবা মতিন” হয়ে গেলাম। কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

রাবিদঃ এবার ওয়ান-ডে সিরিজ শুরু হচ্ছে- ভালো কিছু দেখার আশা কি আমরা করতে পারি?

আশরাফুলঃ ওয়ান-ডে ম্যাচে ভালো খেলার চেস্টা...... হি হি হি, দেখেন দেখেন বৃস্টির মধ্যে খারাইয়া ডিউটি করতে গিয়া পানিতে ভিজ্যা পুলিশ গুলার কি নাকানি চুবানি অবস্থা।

রাবিদঃ আশরাফুল, আশরাফুল। বারবার একই ভুল? তুমি না কথা দিয়েছো দলের সন্মানের কথা মাথায় রেখে সিরিয়াসলি ইন্টারভিউ দিবে- অথচ প্রতিবারই সব ভুলে গিয়ে একই কাজ করছো?

আশরাফুলঃ সরি রাবিদ ভাই। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ও ফরমাল ইন্টারভিউ। আমাদের সবাইকে অত্যন্ত সতর্কভাবে ভাবনা চিন্তা করে দায়িত্বশীল কথা বলতে হবে। আশা করছি এবার থেকে ফালতু প্রসঙ্গ এড়িয়ে ভাল ভাবে কথা বলতে পারব এবং আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো।

রাবিদঃ একবার দুবার তো নয়, বারবারই একই ভুল হচ্ছে। তবে তোমার কথা শুনে এবার মনে হচ্ছে তোমার মধ্যে ম্যাচিউরিটি এসেছে ও তুমি তোমার ভুল ধরতে পেরেছ। যাই হোক, বলো, ওয়ান-ডে সিরিজ নিয়ে তোমার প্ল্যান কি?



আশরাফুলঃ কথা দিচ্ছি, ওয়ান-ডে সিরিজে পুরো পাল্টে যাবো। আসলে রোমান্টিকতার ভাত নাই। আমি আমার ন্যাচারাল খেলা খেলবো- পিটাইয়া সব বোলাররে পোতাইয়া ফালাবো। আমার মারমুখী আচরন দেখে চিনতেই পারবেন না এটা টেস্ট সিরিজের সেই নুতুপুতু আশরাফুল নাকি চট্রগ্রামের পুলিশ কমিশনার আলী আকবর খান!!

রাবিদঃ তুমি মারমুখী আলী আকবর খান হয়ে গেলে দলের হাল ধরে রেখে খেলবে কে- এটা নিয়ে টিমে কোনো আলোচনা হয়েছে?

আশরাফুলঃ ওই শালা নাম, নাম। পা পিছলাইয়া পড়বি তো। দেখেন তো কান্ড! খেলে বন্ধ তাও বৃস্টির মইধ্যে গাছের ভিজা ডলে চইড়া মাঠের দিকে তাকাইয়া আছে। এসব পাগলা দর্শক নিয়া হইছে আরেক জ্বালা। জানের মায়া নাই, খালি ক্রিকেট আর ক্রিকেট।

রাবিদঃ আশরাফুল, আশরাফুল। আবারো একই ভুল? আবারো ফালতু প্রসঙ্গ?

(হাবিবুল বাশার এসে বসলেন আশরাফুল আর রাবিদ এর সাথে)

আশরাফুলঃ সরি ভাই, অতীতের সব ভুল থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের ইন্টারভিঊ পড়ার জন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে। আপনি দোয়া করবেন, আমি যাতে সবার কথা মনে রেখে দায়িত্বশীলতার সাথে এই ইন্টারভিউ শেষ করতে পারি।

রাবিদঃ ঠিক আছে। হাবিবুল এখন আমাদের সাথে আছে, সে তোমাকে সুন্দর ভাবে গাইড করতে পারবে যাতে তুমি ভালো ভাবে ইন্টারভিউটা দিয়ে পারো।

হাবিবুলঃ আশরাফুল, রাবিদ ভাই তোর সিরিয়াস ইন্টারভিউ নিচ্ছে আর তুই কিনা এর মধ্যে আলতু ফালতু প্রসঙ্গ আনছিস? তোর ইন্টারভিউ পড়ার জন্য মানুষ বসে থাকে- আর তুই এটা নিয়ে এমন খামখেয়ালি করিস? তুই পারবি। তুই ভাল ভাবে কথা বল- আমি তোর পাশে থেকে তোকে গাইড করব।

রাবিদঃ আচ্ছা বলছিলাম, তোমার মারমুখী খেলার সাথে মিল রেখে দলের গেম প্ল্যান কি হবে?

হাবিবুলঃ আশরাফুল, দেখ দেখ অস্ট্রেলিয়ান মেয়ে সাপোর্টারগুলা বৃস্টির মধ্যে কাপড় খুলে ভিজতেছে।

আশরাফুলঃ আরে জোশ, জোশ। ওরে খাইছে, কি বড় আরেকটা ঠাডা পড়লো।

হাবিবুলঃ তুই বাজ পড়া কে ঠাডা বলিস কেন?

আশরাফুলঃ আরে রাখেন সুমন ভাই, এমন জোরে জোরে পড়তাছে- এটা ঠাটা না, রাম ঠাডা

(ইন্টারভিঊ’র কথা ভূলে হাবিবুল আর আশরাফুল অস্ট্রেলিয়ান ফ্যান, ঠাডা পড়া আর বাজ পড়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। তাদের এই কান্ড দেখে ব্জ্রাহতের মত নির্বাক হয়ে বসে রইলেন ডাকসাইটে সাংবাদিক রাবিদ ইমাম)

__________________
JONONI JONMOVUMI SWARGADOPI GORIOSI
জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরিয়সী



Last edited by babubangla : April 21, 2006 at 11:54 AM.



b) ( BD vs Zimbabwe)
আশরাফুলকে অবিলম্বে জাতীয়দলে ফিরিয়ে আনার দাবীতে বিসি ফোরামে রাজনৈতিক কর্মসূচী

রান-খড়ায় ভোগার অজুহাতে আশরাফুলকে জাতীয় দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।
সপ্তাহব্যাপী প্রলয়ংকরী রানের বন্যায় আশরাফুল সেই রান-খড়ার অভিযোগ খড়কুটোর মতো ভাসিয়ে দিয়েছে।
সমগ্র জাতি আজ আশরাফুলকে জাতীয় দলে ফেরত চায়।
দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে আসুন আমরাও আশরাফুলকে অবিলম্বে জাতীয়দলে ফিরিয়ে আনার দাবীতে বিসি ফোরামে নিম্নবর্ণিত রাজনৈতিক কর্মসুচীতে ঝাপিয়ে পড়িঃ

১. মহাসমাবেশ



বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াঃ কারনে-অকারনে দলীয় কর্মী ও দশ-টাকা দরে ভাড়াটে আমজনতার পদভারে ঢাকার রাজপথ স্থবির করে দেয়া। রাজপথে মানুষের চাপে রাজধানীর জনজীবন অচল।

সমতুল্য বিসি ফোরাম কর্মসূচীঃ নামে বেনামে হাজারে হাজারে ভুয়া সদস্য রেজিস্টার করে ফোরাম প্লাবিত করতে হবে। আশরাফুল-ভক্ত, আশরাফুল-দিওয়ানা, আশরাফুল-কাঙ্গাল, আশরাফুল-জানেমান এই জাতীয় একই ব্যক্তির অগনিত নিকনেম সৃস্টি করে বিসি ফোরাম ভুয়া সদস্যে ভরিয়ে দিতে হবে।

২. ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগ



বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াঃ নিরাপরাধ মানুষের গাড়ী, বাড়ী, দোকানপাটে ভাংচুর করা ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়া। কার গাড়ী, কার সম্পত্তি সেটা বিবেচনার যোগ্য নয়।

সমতুল্য বিসি ফোরাম কর্মসূচীঃ অন্যের তৈরী সুন্দর সুন্দর আলোচনার থ্রেড শত শত “আশরাফুলের জন্যে কস্টে আছি” জাতীয় এক-লাইনি পোস্টে ভরিয়ে দিতে হবে। শত শত অপ্রয়োজনীয় থ্রেড খুলে সারা ফোরাম জর্জরিত করে ফেলতে হবে। ফটোশপ দিয়ে মডেল মোনালিসার জ্বালাময়ী সেক্সী ছবি বানিয়ে ফোরামে ভার্চুয়াল আগুন জ্বালাতে হবে।

৩. জনতার মঞ্চ



বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াঃ দিনভর সভামঞ্চে নেতা-নেত্রীদের দীর্ঘ জ্বালাময়ী বক্তৃতা। সেইসাথে সমবেত জনতার দৃস্টিআকর্ষন ও মনোরঞ্জনের জন্য তারকাশিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

সমতুল্য বিসি ফোরাম কর্মসূচীঃ “আশরাফুল-মঞ্চ” নামে থ্রেড খুলে তাতে আশরাফুল বিষয়ক সব আর্টিকেল খুঁজে কপি-পেস্টের মাধ্যমে তা পোস্ট করতে হবে। ভালাদ-মামুর সহায়তায় মনঃতত্ত্ব বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনাও তাতে পোস্ট করা যেতে পারে। সেই “আশরাফুল-মঞ্চ” থ্রেডে ভিজিটর আকৃস্ট করার জন্য ফজল-সওরন- টাইগারআই এর মতো সেলিব্রিটি সদস্যদের ম্যানেজ করে বিনোদনমূলক পোস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পুলিশী হামলা ও বর্বরতা



বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াঃ পুলিশী হামলা ও বর্বরতার প্রতিবাদে বিবৃতি এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি “জনগনের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না” জাতীয় আহবান প্রচার। পুলিশী হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক সমাবেশ আয়োজন ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তিদাবী।

সমতুল্য বিসি ফোরাম কর্মসূচীঃ আশরাফুলের সমর্থনে বিসি ফোরামে রাজনৈতিক কর্মসুচী পালন করতে গিয়ে কেউ চায়নাম্যানের হুমকি ও বহিষ্কারাদেশের শিকার হলে তার প্রতিবাদে নতুন করে বিক্ষোভ থ্রেড খুলতে হবে। ফোরামব্যাপী ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগ কর্মসূচী জোরদার করার পাশাপাশি জুনায়েদসহ অন্যান্য মডারেটরদের কাছে “আশরাফুলের কাতারে দাঁড়ান” শিরোনামে পিএম পাঠাতে হবে। তারপরেও যদি কাউকে পার্মানেন্ট ব্যানের কবলে পড়ে চিরতরে আমাদের ছেড়ে চলে যেতে হয়, সেই অমর সদস্যের স্মরণে “ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই” শিরোনামে স্মৃতিচারনমুলক থ্রেড খুলতে হবে।

সংগ্রামী সাথী বন্ধুগন,
গনতন্ত্রের সার্থকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই- আমরা এখনও কেবল তার সার্থক প্রয়োগ ঘটাতে পারছি না।
আত্মঘাতী আন্দোলন-সংগ্রামের এই পর্ব পেরিয়ে একবার যদি তা দাঁড়িয়ে যায়- তার সুফল আমরা সবাই পাবো।
আশরাফুল আমাদের গনতন্ত্রের মতো—অমিত তার সম্ভাবনা, শুধু সার্থক প্রয়োগের অভাবে আজ তার এই দশা।
ইনিংসের পর ইনিংস জুড়ে হৃদয়বিদারক আত্মহননের পর্ব পেরিয়ে একবার যদি সে দাঁড়িয়ে যায়- তার আলোতে আলোকিত হবো আমরা সবাই।

সবই না হয় বুঝলাম- কিন্তু আশরাফুলের নামে আমাদের প্রিয় বিসি ফোরামে কেন এই বিশৃংখলা, অনিস্ট সৃস্টির ডাক?
বললাম না- আশরাফুল আমাদের গনতন্ত্রের মতো। এখন বিসি ফোরামকে শুধু ভেবে নিন দেশ।
থাঙ্কসগিভিং এর ছুটিতে এই আমার একরকম বাংলাদেশ বাংলাদেশ খেলা।


__________________
JONONI JONMOVUMI SWARGADOPI GORIOSI
জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরিয়সী



c) Hamid bhai & Channel i:

রঙ্গব্যঙ্গঃ চ্যানেল আই ধারাভাষ্য


আব্দুল হামিদঃ সুপ্রিয় দর্শকমন্ডলী, বাংলাদেশ-কেনিয়া তৃতীয় ওয়ান-ডে ম্যাচ দেখার জন্য ফতুল্লা স্টেডিয়াম থেকে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি আব্দুল হামিদ এবং আলফাজ আহমেদ। এছাড়াও আপনাদের ক্রিকেট জ্ঞানের শূন্য ভান্ডার ভরিয়ে তোলার জন্য ক্রিকেট অনুরাগী বিজ্ঞ ব্যক্তিদের দিনভর আমরা আপনাদের সামনে হাজির করব।

প্রথম দৃশ্য
হামিদঃ আচ্ছা আলফাজ, আজকের খেলা সম্পর্কে তোমার কি ধারনা ?
আলফাজঃ হামিদ ভাই, কি আর বলবো, আজকের খেলাটা কিন্তু খুব গুরুত্বপুর্ণ একটা খেলা
হামিদঃ দর্শকমন্ডলী, এই মাত্র আমরা আমদের বিজ্ঞ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আলফাজ এর কাছ থেকে অত্যন্ত চমৎকার একটা তথ্য জানতে পারলাম—আজকের খেলা খুব গুরুত্বপুর্ণ খেলা।
আলফাজঃ হামিদ ভাই, শুধু তাই নয়, আমরা আশা করব বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আজ তাদের সব নৈপূন্য ঢেলে দিয়ে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে তাদের নিজেদেরকে আজ ফতুর করে ফেলবেন।
হামিদঃ তুমি ঠিকই বলেছ আলফাজ, নিজেদের সর্বস্ব উজার করে ফতুর হতে না পারলে ঊগান্ডার বিরুদ্ধে জয়লাভ অত্যন্ত কঠিন হতে পারে।
আলফাজঃহামিদ ভাই, আমরা কিন্তু আজ খেলছি কেনিয়ার সাথে, উগান্ডার সাথে নয়- যদিও কেনিয়া ও উগান্ডা উভয় দলের খেলোয়াড়রা দেখতে একই রকম কালো।
হামিদঃ শুধু কালো নয় আলফাজ, পাতিলের তলার মত কালো।

দ্বিতীয় দৃশ্য
হামিদঃ সুপ্রিয় দর্শকমন্ডলী, আপনাদের সামনে আমরা এখন হাজির করেছি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য এক্সট্রা ও রুপসী নাচনেওয়ালী হুরমতী বেগমকে।


হুরমতীঃ আজকের খেলা কিন্তু খুব ঝাকানাকা-ঝাকানাকা।
হামিদঃ আমি তোমার সাথে সম্পুর্ন একমত। দর্শকমন্ডলী আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন হুরমতী কিন্তু শুধু চলচ্চিত্রের এক্সট্রা ভুমিকায় অভিনয়ই করেন না, তিনি কিন্তু ক্রিকেটও আমাদের মতই ভাল বোঝেন। এক কথায় তিনি একজন ক্রিকেট বোদ্ধা বা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ।
আলফাজঃজী হামিদ ভাই, হুরমতী শুধু সিনেমার এক্সট্রা নন, তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের সুপারসাব
হুরমতীঃ অলক কাপালির চেহারা কিন্তু খুব ঝাকানাকা- ঠিক আমাদের ফিল্মের হিরোর মত।
হামিদঃ হুরমতী এইমাত্র বাংলাদেশের কৃতি খেলোয়াড় ও বিশ্বের সেরা ফিল্ডার অলক কাপালি সম্পর্কে সুক্ষ্ম তথ্য বিশ্লেষন আমাদের সবাইকে অবহিত করলেন।
আলফাজঃ হুরমতি, আমি কিন্তু আপনার ফিল্মের ও আপনার নাচের খুব ভক্ত। আপনি কি আমাদের ও দর্শকদের ঝাকানাকা-ঝাকানাকা ঝাকানাকা-ঝাকানাকা দেহ দুলিয়ে দেখাবেন?
হামিদঃ তুমি ঠিক বলেছ আলফাজ, আমিও একটু ঝিমিয়ে পরেছি, গলার স্বর কমে গেছে- একটা দেহ-দুলানি নাচ দেখলে আমার শরীর জেগে উঠবে, গলার স্বর আবার চড়ে যাবে। দর্শকরাও খেলা দেখার পাশাপাশি আরো উন্মত্ত হয়ে উঠতে পারবে।
(হুরমতীর ঝাকানাকা-ঝাকানাকা ঝাকানাকা-ঝাকানাকা নৃত্য পরিবেশন)
আলফাজঃহামিদ ভাই, আপনার কথা জানিনা, আমি কিন্তু এই নাচ দেখার পর পুরোপুরি উন্মাতাল হয়ে পরেছি। আমি যেন আফতাবের ছক্কার মারা বলের মত আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছি। আমার নিজের উপর এখন যেন আর কোন নিয়ন্ত্রন নেই- আপনি দয়া করে আমাকে একটু ধরে রাখুন।
হামিদঃ তোমাকে ধরে রাখবো কি, আমার নিজেরই তো বেহাল অবস্থা। হুরমতীর দেহের পরতে পরতে যেন লুকানো ছিলো আশরাফুলের ব্যাটিং এর মত অজস্র সব শট। বাংলাদেশের ক্রিকেট ধারাভাষ্যের ইতিহাসে আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। দেশের ক্রীড়ামোদী দর্শকবৃন্দ আজ দেখতে পেলেন ক্রিকেটের দৈহিক ধারাভাষ্য।

তৃতীয় দৃশ্য
হামিদঃ সুপ্রিয় দর্শকমন্ডলী, একটু আগে চ্যানেল-আই ভবনের নিচের রাস্তার দোকানে পান খেতে গিয়ে আমার সাথে পরিচয় হলো রাস্তায় বসা ভিক্ষুক রমজান মিয়ার সাথে। ক্রিকেট সম্পর্কে তাঁর অগাধ আগ্রহের কথা জেনে আমি তাকে নিয়ে এসেছি আমাদের ধারাভাষ্য কক্ষে আপনাদের সামনে ধারাভাষ্য দেবার জন্য।



রমজানঃ আলহামদুলিল্লাহ। তয় লাঞ্চের সময় আপনেরা খালি টেলিফোনে বকবক করবেন নাকি ভাতও খাইবেন? আমার আবার চ্যানেল-আই’তে ভাত খাইবার খুব ইচ্ছা।
হামিদঃ দর্শকমন্ডলী, আপনাদের হয়তো জানা নেই- রমজান মিয়ার ক্রিকেট জ্ঞান কিন্তু আমাদের ধারাভাষ্যকারদের মত-ই টন্*টনে। তা রমজান ভাই, দর্শকদের একটু বলুন ক্রিকেটের সাথে আপনার সম্পৃক্তার কথা।
রমজানঃ ক্রিকেট খেলা শুরুই হয় একখান চাইর-আনা পয়সা ছুইরা মাইরা। আর আমার তো দিনভর কায়কারবার এই ভিক্ষার চাইর-আনা, আট-আনা পয়সা লইয়াই।
আলফাজঃ হামিদ ভাই, আমি আপনার প্রতিভা সন্ধানের দক্ষতায় আভিভুত। আসলেই ক্রিকেট খেলা তো টস এর খেলা। টস এর জয়-পরাজয় আজকাল খেলার ফলাফল অনেকটাই নির্ধারন করে দেয়। আর কেই বা না জানে যে ভিক্ষুকদের কাজকারবার টস এর কয়েন নিয়েই। একেকজন ভিক্ষুক আসলে ক্রিকেটের জন্য একেকজন টস এক্সপার্ট।
হামিদঃতুমি ঠিক বলেছ আলফাজ- আমি আসলেই প্রতিভা অন্বেষনের ক্ষেত্রে খুবই দক্ষ। এই বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন আর কত রমজান মিয়া। রমজান মিয়ার মত লোকদের খুঁজে বের করে জাতীয় দলের জন্য টস প্রশিক্ষনে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ অচিরেই বিশ্বক্রিকেটে এক অজেয় টসজয়ী দলে পরিনত হতে পারবে। ক্রিকেট বোর্ডের উচিত আমাকে অবিলম্বে প্রতিভা অন্নেষক পদে ভাল বেতনে নিয়োগদান করা।
আলফাজঃ যদি তাই হয়, তবে আমাকে কিন্তু আপনি আপনার সহকারী হিসাবে নিয়োগ দিতে ভুলবেন না। ই-এস-পি-এন এর জ্বালায় আমাদের ধারাভাষ্যের বাজারে বড়ই মন্দা। আর আমার ধারাভাষ্যের প্যানপ্যানানি’তে আমার নিজের কানেই পচন ধরার অবস্থা।
হামিদঃতুমি ঠিক বলেছ আলফাজ- গত চল্লিশ বছর ধরে আমরা এই একই প্যানপ্যানানি চালিয়ে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই।

চতুর্থ দৃশ্য
(মধ্যাহ্ন বিরতির টেলিফোন টক-শো চলছে)
হামিদঃ এই তো ফোন বেজেছে। খেলা তো আসলে কোন ব্যাপার নয়- খেলা তো খেলাই, ধারাভাষ্যই সব। দেখি আমাদের ধারাভাষ্য সম্পর্কে দর্শকদের কি অভিমত।
ক্রিং-ক্রিং-টেলিফোনঃ হ্যালো, আমি বাংলাক্রিকেট থেকে বলছি। আপনার ধারাভাষ্যের জ্বালায় তো আমি নিজেই টাকলু হয়ে গেলাম।
হামিদঃ জী, আপনার ফোনের জন্য ধন্যবাদ।
ক্রিং-ক্রিং-টেলিফোনঃ হ্যালো, আমি বাংলাক্রিকেট থেকে বলছি। ভাইজান, আমাদের বাঁচান, প্যানপ্যানানি থামান।
হামিদঃ জী, আপনার ফোনের জন্য ধন্যবাদ।
ক্রিং-ক্রিং-টেলিফোনঃ হ্যালো, আমি বাংলাক্রিকেট থেকে বলছি। দোহাই আল্লাহ্*র- একটু থামেন। রহম করো খোদা।
হামিদঃ জী, আপনার ফোনের জন্য ধন্যবাদ।
ক্রিং-ক্রিং-টেলিফোনঃ হ্যালো, বাঁচাও, বাঁচাও
হামিদঃ জী, আপনার ফোনের জন্য ধন্যবাদ।
ক্রিং-ক্রিং-টেলিফোনঃ হ্যালো, আমি চ্যানেল-আই ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজার বলছি। টেবিলে লাঞ্চ লাগাইছি, আপনারা খাইতে আসেন।
হামিদঃ জী, আপনার ফোনের জন্য ধন্যবাদ—ও থুক্*কু, থুক্*কু, । চলো আলফাজ খেয়ে আসি।
আলফাজঃ জী হামিদ ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি আপনার সাথে একমত।

শেষ দৃশ্য
(লাঞ্চ সেরে এসে হামিদ ভাই এবং আলফাজ ভাই ঝিমুচ্ছেন)
হামিদঃ আলফাজ, ভাত খেয়ে বড্ড ঘুম পাচ্ছে। তুমি টিভির সাউন্ড পুরো মিঊট করে দাও। খেলা নিরবে চলুক। এসো আমরা একটূ ঘুমিয়ে নেই।
আলফাজঃ জী হামিদ ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি আপনার সাথে একমত।
হামিদঃ আলফাজ...ঘুম...ঘড়ড়ড়ড় ঘড়ড়ড়ড় (নাক ডাকার শব্দ)
আলফাজঃ হামিদ ভা... ঘড়ড়ড়ড়...ঠি-ই-ই-ক বলে......ছেনননন... ঘড়ড়ড়ড়.
হামিদঃ ঘড়ড়ড়ড় ঘড়ড়ড়ড়
আলফাজঃ আমি...ঘড়ড়ড়ড়....একমত..... ঘড়ড়ড়ড়

(অতঃপর দর্শকবৃন্দ প্যানপ্যানানি মুক্ত হইয়া নীরবে খেলা উপভোগ করিতে লাগিলো)



Last edited by babubangla : June 26, 2006 at 08:11 PM.


2. Posted by: akabir77:
( BD vs Scotland, Dec. 15, 2006)

I love these attitude and pictures:

http://www.tigercricket.com/tigerimg...px?columnID=79

I love how mushfiq was laughing without understanding the situation and then every body was serious as they realize that the batsman got a bloody head...

poor scoot needs to learn quickly that u don't go to a test playing country and say we r here to win. you say what bd normally say we r here to get experience...
__________________
- This signature was created by chinaman
Shahadat Hossain Bangladesh v Zimbabwe (Harare,02/08/2006)
TV Mufambisi c K. Mashud; E Chigumbura lbw; P Utseya c K. Mashud


3. Posted by: pagol-chagol:
(Dec. 5, 2006)


False News: India invites Bangladesh for ODI series to increase confidence(sarcasm)

After snubbing Bangladesh for many years, India has finally realized that they need Bangladesh to get their confidence up before the world cup. 3 game series schedule in january, coming soon. Source: www.babubangla.com
__________________
Ashraful is like the Eids. Lots of fun twice a year.



Last edited by chinaman : December 4, 2006 at 10:08 AM. Reason: mod.content. Title changed.

Last edited by Nasif; December 10, 2007 at 02:41 PM.. Reason: bangla text
Reply With Quote