December 11, 2010, 07:59 AM
|
|
2018 BPL Fantasy Winner
|
|
Join Date: October 30, 2010
Favorite Player: Mash
Posts: 22,930
|
|
বাংলাদেশ-জিম্বাবুইয়ে চতুর্থ ওয়ানডে পরিত্যক্ত। বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযোগী। খেলা না হওয়ায় বড় হয়ে দেখা দিল একটি প্রশ্ন। আর তা বিশ্বকাপ ভেনু্যর এই অবস্থা? এখানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের খেলা? চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগেও ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে, ২০০৭ সালে। তখন এতটা চিনত্মার বিষয় ছিল না। কিন্তু সামনে বিশ্বকাপ। এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ। মাঠ নিয়ে শঙ্কা আউটফিল্ডের বেহাল দশার কারণে। বৃষ্টির পরও খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার নজির রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামে বৃষ্টির পর দীর্ঘ সময় হাতে থাকলেও খেলা আয়োজন করা যায়নি। কারণ এমন বাজে আউটফিল্ড বিশ্বের কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। এ অবস্থায় বিশ্বকাপের ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা উঠেছে তা অবশ্য দূর করার চেষ্টা করলেন কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। তাঁর কথায়, 'আসলে বিশ্বকাপের ম্যাচ নিয়ে এখানে কোন সমস্যা হবে না। তখন পুরো মাঠকেই ঢেকে দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সময় আছে।' তাঁর কথা যদি সত্যি হয় তাহলে বিশ্বকাপের ম্যাচ ভালভাবেই হবে এই স্টেডিয়ামে। আজই আইসিসির পরিদর্শন টিম এই স্টেডিয়াম পরিদর্শন করতে আসছেন। কিন্তু অন্য সব বিষয়েই সমস্যা সৃষ্টি করছে। বৃষ্টি হলে আউটফিল্ডে পানি জমে যায়। যার নিষ্কাশন ব্যবস্থা বলতে গেলে একেবারেই দুর্বল। ঘাস ছেঁটে তা মাঠেই ফেলা হয়। অনেক স্থানে আবার ঘাস বড় বড়। কাদা জমে যায়। যে কারণে সেখানে ভারি কোন জিনিস পড়লে আরও অসুবিধার তৈরি হয়। এই অসুবিধার সঙ্গে যুক্ত বিশ্বকাপের আগে কোনভাবেই এর প্রতিকার নেই। বাবুই তা জানালেন, 'বিশ্বকাপ শুরম্ন হতে বেশিদিন নেই। এর আগে যেসব অসুবিধা রয়েছে তা দূর করা সম্ভব নয় বললেই চলে। তবে পুরো মাঠ ঢেকে রাখলে খেলা ভালভাবেই চালানো সম্ভব। বৃষ্টি হলেও কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু এরকমটিও যদি না করা যায় তাহলেই অসুবিধা।'
কি অসুবিধা? জানাচ্ছেন কিউরেটর, 'অসুবিধা বলতে বৃষ্টি হলে যদি মাঠ ঢেকে রাখা না হয় তাহলে এক স্থানে কয়েকজন ক্রিকেটার থাকলেই সেখানে পা পড়লেই কাদা মাটিতে ডেবে যাবে। ঘাস বাইরে ফেলার ব্যবস্থাও তেমন নেই। এক স্থানে ঘাস ছেটে ফেলা হলে অন্য স্থানে যুক্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আউটফিল্ড ভাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যদি পুরোপুরি ঢেকে ফেলা না যায়। তবে তা সম্ভব। আর তাই বিশ্বকাপের ম্যাচ মাঠে গড়াবে অনায়াসেই।' আউটফিল্ড নিয়ে জিম্বাবুইয়ে কোচ এ্যালান বুচার ও বাংলাদেশ স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের কণ্ঠেও খানিক হতাশার সুর। বুচার বলেন, 'বৃষ্টি হয়েছে। আবার থেমেছে। আলোও দেখা গেছে। কিন্তু আউটফিল্ড খারাপ থাকাতেই ম্যাচটি হলো না। একটি ম্যাচ এভাবেই চলে গেল।' রাজ্জাক বলেন, 'ম্যাচ হলে অবশ্যই ভাল হতো। আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আউটফিল্ড খেলার অনুপযোগী থাকায় খেলা আর হলো না। এ নিয়ে নিশ্চয়ই ভাববে কর্মকর্তারা।' সব মিলিয়ে ম্যাচ হলো না কাল। আর সেই না হওয়ার পেছনে দায়ী স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড। সেখানেই সবার মনের ভেতর শঙ্কা। প্রশ্নও, আদৌ বিশ্বকাপের ম্যাচ এখানে হবে?
http://www.dailyjanakantha.com/news_...12-11&ni=42030
__________________
kumbaya
|