January 24, 2009, 01:19 PM
|
|
Cricket Guru T20 WC 2010 Fantasy Winner
|
|
Join Date: June 18, 2005
Location: Canada
Favorite Player: ABD / Kalam / Musta
Posts: 9,787
|
|
No wonder!!
মোহামেডানকে ছিটকে দিয়ে শিরোপার আরো কাছে আবাহনী
ঢাকা, জানুয়ারি ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)----- রেফারির বাঁশিটা হঠাৎ বেসুরো হয়ে গেল যেন! শুনেই প্রায় নিস্তেজ হয়ে মাঠে নেতিয়ে পড়লেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। যেন সর্বস্ব লুটে নিল রেফারি আব্দুল হান্নান মিরনের ম্যাচ শেষের লম্বা বাঁশি। কিন্তু তা হয়ে গেল আবাহনীর জন্য মোহনবাঁশির সুর। শুনে নীল-আকাশীর খেলোয়াড়রা পাগল-প্রায়, নেচে-গেয়ে, কোলাকুলি করে তারা মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে বি. লিগের শিরোপার সৌরভ নেওয়ার চেষ্টা করলেন।
এখনই শিরোপার সৌরভ পাচ্ছে আবাহনী। কারণ এই জয় ১৬ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট পাওয়া গতবারের চ্যাম্পিয়নদের এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে শিরোপার দিকে। আর মোহামেডানকে ঠেলে দিয়েছে চূড়ান্ত হতাশার দিকে। ১৫ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা বসে আছে আগের জায়গাতেই। যেখান থেকে আর সরাসরি শিরোপা-স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই। যদি না আবাহনী পরের ম্যাচগুলোতে অপ্রত্যাশিত হোঁচট খায়।
অথচ 'খেলবো না' রব তুলে মোহামেডান যখন বিকেল ৫টায় খেলতে নামে তখন তারাই দুর্বার। গতি আর তেজের তুল্যমূল্যে তারা খানিকটা হলেও এগিয়ে। গোলও করেছে আগে। কিন্তু ওই ছুতোনাতায় না খেলার গোঁ ধরা দলটির ওপর বোধকরি বিরাগ তৈরি হয়েছিল ফুটবল দেবতার। নইলে এত গোল মিসের মহড়া দেবে কেন তারা ? আর মাঠে সেরকম আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ছাড়াই পিছিয়ে পড়া আবাহনী কেন জেগে উঠবে ? শুরু থেকে অচেনা এমিলি হঠাৎ জেগে উঠে ৬৭ মিনিটে নীল-আকাশীদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন, তারপর শেষমুহূর্তে এমেকার গোলে আবাহনী মেতেছে প্রাক-শিরোপা উৎসবে।
সত্যিই নিয়মিত খেলোয়াড় রবিন ও হাসান আল মামুনকে ছাড়া মোহামেডান যে খেলতে নেমেছে তা বোঝাই যায়নি প্রথমার্ধে। দুজনেরই ইনজুরি এবং এজন্যই মোহামেডানের না খেলার নাটক বলে সাধারণ্যে ধারণা। কিন্তু সেটা ভুল প্রমাণিত করে তারা শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে আবাহনীর ডিফেন্সে হানা দিয়েছে। ৩৭ মিনিটেই বুকোলা গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। ডিফেন্ডার সুজন একটু ভুল করলেই পোস্টের সামনে থেকে তার টোকা আবাহনীর জালে আশ্রয় নিতো। সে যাত্রায় রক্ষা পেলেও ৪৪ মিনিটের মাথায় এই নাইজেরিয়ানকে আর ঠেকাতে পারেনি আবাহনী। রিপন খানের থ্রো ঠেকাতে জয় লাফিয়ে উঠেছেন, বলের ফ্লাইট মিস করেছেন পেছনে থাকা বিপ্লবও । জয়ের মাথা হয়ে বল বুকোলার মাথায় পড়তেই এগিয়ে যায় মোহামেডান, দুলে ওঠে তাদের গ্যালারি। এক গোলে এগিয়ে যাওয়া সাদা-কালোদের শিরোপার দৌড়ে ফেরার আশা সঞ্চারিত হয় সমর্থকদের মনে।
যদিও তা আস্তে আস্তে উবে যেতে শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধে। অথচ আবাহনীর প্রথম একাদশ দেখে বোঝা মুশকিল ছিল তারা জয়ের জন্য নামছে নাকি ড্রয়ের জন্য! দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জয় ও প্রাণতোষ একসঙ্গে। নেই ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার আওদু ইব্রাহিম। এছাড়া প্রথম লেগের এই দ্বৈরথে ভীষণভাবে অকার্যকর প্রমাণিত হওয়া 'মেকশিফট' রাইটব্যাক নজরুলের উপস্থিতি। শুরু থেকেই তার দিকটাকে পছন্দ করেছে মোহামেডান এবং গোলের আক্রমণটাও ছিল ঐ প্রান্ত থেকেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নজরুলে বদলি হয়ে নামেন ওবায়দুর। ৫৪ মিনিটে ডানদিকের আক্রমণটির উৎসও তিনি। তার পাস থেকে এমেকার পা ঘুরে বল প্রাণতোষের কাছে গেলেও তিনি ক্রসবার উঁচিয়ে মেরে দারুণ সুযোগটি নষ্ট করেছেন। কিন্তু ৬৬ মিনিটে আর হতাশায় পুড়তে হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ডান দিক থেকে মামুনের ক্রসে হেড করে চমৎকার এক গোল করে এমিলি ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন আবাহনীকে। অথচ ১১ গোল করা এই স্ট্রাইকারকে যেন তার আগে চোখেই পড়েনি!
এমিলি হঠাৎ করে জেগে ওঠায় আবাহনী কোচ অমলেশ সেনও সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেছেন। তাকে বদলের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে টিপুকে নামিয়েছেন আবুলের জায়গায়। সেটাই ঠিক সিদ্ধান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে শেষপর্যন্ত। কারণ জয়সূচক গোলের রূপকারও এমিলিই। ৮৮ মিনিটে ডি বক্স থেকে তার ডান পায়ের দুর্দান্ত শটটি মোহামেডান গোলরক্ষক আমিনুল কোনো রকমে ঠেকালেও ফিরতি বলে এমেকা সাইডভলি করে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিয়েছেন আবাহনীকে।
গোলের দিক থেকে চিন্তা করলে আবাহনীর জয়ের মূল কারিগর জাহিদ হাসান এমিলি। ম্যাচশেষে তাই তিনি হাসতে হাসতে বললেন, "সারাক্ষণ খেলতে হয় না। সময়মতো কাজের কাজ করতে পারলেই হয়।" দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু ম্যাচশেষে তাকে আলিঙ্গন করে বললেন, "তুমি চাইলেই পারো।" এই আলিঙ্গনের ভাষায় ছিল শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছানোর তৃপ্তি।
অন্যদিকে মনমরা হয়ে বসে বসে ব্যর্থতার কারণ খুঁজলেন মোহামেডানের কোচ মারূফুল হক। তার সোজাসাপ্টা জবাব, "এত গোল মিস করলে আসলে জেতা কঠিন হয়ে যায়। তাই হয়েছে এবং শিরোপার দৌড় থেকে আমরা ছিটকেই পড়েছি।" দ্বিতীয়ার্ধেও মোহামেডান সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে। ৬১ মিনিটে ওদোগি ওয়ান টু ওয়ানে ঢুকে বল তুলে দেন গোলরক্ষকের হাতে। তারপর আব্দুল বাতেন কমল ও নাসির ফাঁকায় দাঁড়িয়ে শট মারেন বাইরে।
তার পরিণতিতে ঐতিহ্যবাহী দলটি চলে গেছে শিরোপার দৌড়ের অনেকটা বাইরে। তা দেখে অবসর নেওয়া জুয়েল রানারও কষ্ট কম নয়। নিজের বিদায়ী ম্যাচে তার দলের শিরোপা-স্বপ্নও যে বিলীন !
__________________
Armchair selectors name their XI and conduct heated selection meetings on internet. Blood young players, some experts cry. Pick the best players, regardless of age, insist others.
|