It seems like he cares for Bangladesh Football (i think)...
----------------------
অল্প স্বল্প
‘ওরা এ দেশের ফুটবলকে হত্যা করছে’
ক্রীড়া প্রতিবেদক | তারিখ: ১৮-০৫-২০১১
আলী আকবর পোরমুসলিমি
পরশু রহমতগঞ্জের কাছে হারের পর ক্ষুব্ধ ছিলেন রেফারিং নিয়ে। বাজে রেফারিং এবং নিম্নমানের বিদেশির হাতে বাংলাদেশের ফুটবলকে জিম্মি দেখছেন আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি। ধানমন্ডির বাসায় বসে কাল এ নিয়ে কথা বলার সময় উঠে এল আরও কিছু প্রসঙ্গ
কাল (পরশু) মাঠে ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল আপনাকে। ক্ষোভ কি একটু কমেছে?
আলী আকবর পোরমুসলিমি: (স্মিত হাসি) ক্ষোভ তো আছেই। ওটা সহজে যাবে না। আসলে বাজে রেফারিং এক দিন হলে এক কথা, এটা নিয়মিতই হচ্ছে।
বাংলাদেশের ফুটবলে রেফারিং নিয়ে অভিযোগ এখন অনেক কমে গেছে। তার পরও আপনার চোখে কোনটা আলাদা চোখে পড়েছে?
আলী আকবর: বাংলাদেশের রেফারিরা চোখ থাকতেও অন্ধ। একজন খেলোয়াড়কে মারতে মারতে শেষ করে ফেলছে, তাদের পকেট থেকে কার্ড বেরোয় না। কাল রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়েরা আমার খেলোয়াড়দের এলোপাতাড়ি মারল, ভালো রেফারিং হলে অন্তত তিন-চারটা লাল কার্ড হয়। অথচ রেফারি মহাশয় মাত্র একটি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন।
তার পরও রেফারি হলেন সর্বোচ্চ বিচারক। এটা তো মানবেন?
আলী আকবর: মানছি। কিন্তু এভাবে বাংলাদেশের ফুটবল এগোবে না এক পা-ও। আমি তো চলে যাব, কিন্তু ভুক্তভোগী হবে এ দেশের ফুটবলই। দেখুন, বড় শরীরের কিছু আফ্রিকান খেলোয়াড় খেলছে, দু-একজন বাদে এদের স্কিল বলতে কিছু নেই। শারীরিক শক্তি কাজে লাগিয়ে মাঠে যা খুশি করে। আমি তো বলব, ওরা (রেফারি এবং বিদেশি ফুটবলাররা) এ দেশের ফুটবলকে হত্যা করছে।
কোনো উদাহরণ কি দিতে পারেন?
আলী আকবর: এই সেদিন (১৩ মে) চট্টগ্রাম মোহামেডানের আফ্রিকানরা আমার খেলোয়াড়দের মেরে শেষ করে দিল। আমার আনা ইরানি খেলোয়াড় সেজাদি ওই দিনই প্রথম নেমে নাক-টাক ফাটিয়ে একাকার অবস্থা। ওকে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হয়েছে মাঠ থেকে।
ফুটবল মাঠে এমনটা হতেই পারে। আপনি এত বড় করে দেখছেন কেন?
আলী আকবর: স্কিলফুল বিদেশি এলেই না এখানকার তরুণেরা শিখতে পারবে। সেজাদি ইরান জাতীয় দলে খেলেছে। ওকে এখানে এনে আমিই তো তাজ্জব বনে গেছি। রেফারির উচিত ভালো ফুটবলারদের নিরাপত্তা দেওয়া।
আপনার দল শিরোপা লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছে। কার্যত ৬ পয়েন্ট ব্যবধান মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে। আপনার অভিযোগটাকে অনেকে তো অজুহাতও বলতে পারেন...
আলী আকবর: অজুহাত দিচ্ছি না। এ দেশে ফুটবলের নামে আসলে কোনো খেলাই হচ্ছে না। ভালো ফুটবল হলে লোকে মাঠে আসবে। এখন যে ফাঁকা গ্যালারি দেখছি, এটা নেতিবাচক ফুটবলের কারণেই। তা ছাড়া ম্যাচের মধ্যে এত সময় নষ্ট করা আমি আর কোথাও দেখিনি। এটা বাংলাদেশেই সম্ভব।
তাহলে তো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের সামগ্রিক ফুটবলের ওপরই। আপনার কী ধারণা?
আলী আকবর: তা তো অবশ্যই। স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের উন্নতি হচ্ছে না। বড় ক্ষতিটা সইতে হবে জাতীয় দলকেই। ঘরোয়া ফুটবলে যত দিন পর্যন্ত দলগুলো সুন্দর ফুটবল খেলার চেষ্টা না করবে, তত দিন জাতীয় দলের উন্নতি হবে না।
এমনিতে বাংলাদেশের স্থানীয় ফুটবলারদের কেমন দেখছেন?
আলী আকবর: স্থানীয় ফুটবলাররা সেভাবে মোটিভেটেড নয়। অনেক মৌলিক সমস্যা আছে। এগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু বাজে রেফারিং আর নিম্নমানের বিদেশিমুক্ত না হলে বিপদ আছে সামনে।
ক্লাব-ব্যবস্থাপনা কেমন দেখছেন। বিশেষ করে আবাহনী?
আলী আকবর: ক্লাব-ব্যবস্থাপনা ভালোই বলব। আবাহনীর কর্মকর্তারা যথেষ্ট আন্তরিক। সব চাহিদা সময়মতো মেটাচ্ছেন। বিদেশিদের প্রচুর টাকা দিচ্ছেন। এ দিক থেকে ঠিকই আছে। কিন্তু খেলাটা তো মাঠে। যেখানে অনেক দলই ফুটবলটা খেলে না। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের হাড়গোড় ভাঙার নাম তো ফুটবল নয়।
(Source:
http://www.prothom-alo.com/detail/da...18/news/155202)